শুক্রবার

২৬ এপ্রিল ২০২৪


১৩ বৈশাখ ১৪৩১,

১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে মানুষের মধ্যে বৈষম্য বাড়বে

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০৩:০০, ১৮ জুলাই ২০২১  
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে মানুষের মধ্যে বৈষম্য বাড়বে

ছবি: আইসিএবি

ঢাকা (১৭ জুলাই): কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) সম্পদের প্রবৃদ্ধি এবং মানুষের মধ্যে বৈষম্য বাড়ানোর কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

শনিবার ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এমনটাই দাবি করেছেন বক্তারা।

ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন আর শুধু প্রযুক্তিগত বিষয় নয়। এটি এমন একটি বিষয় যার মধ্যে বিজ্ঞানের সমস্ত কিছু যুক্ত হওয়া উচিত। এই প্রযুক্তির দ্বারা কোটি কোটি মানুষকে সাহায্য করার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও নাগরিক এবং বিভিন্ন দেশের সরকারের জন্য কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল বিপ্লব ইতিমধ্যে মানুষের জীবনযাত্রা, কাজ এবং যোগাযোগের মাধ্যমকে পরিবর্তন ও গতিশীল করেছে। আগে যেসব প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছে সেগুলো অনেক কর্মক্ষেত্রে তৈরি করেছে। এছাড়াও উন্নত জীবনযাত্রার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সহ উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, ক্রমবর্ধমান উৎপাদনশীলতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে।

আইসিএবি সভাপতি মাহমুদুল হাসান খসরু বলেন, এআই আমাদের কাজ, আমাদের জীবন, আমাদের সমাজে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ডিজিটাল বিপ্লবের প্রসার নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিবিদদের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্ভবত এমন একটি খাত যা আগামী বছরগুলিতে সমাজ ও অর্থনীতিতে সার্বিক প্রবৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নুভিস্তা ফার্মা লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আক্তার মতিন চৌধুরী। তিনি তার প্রবন্ধে কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জনগণের মধ্যে বৈষম্য বাড়িয়ে তুলবে এবং বৈষম্যকে আরও বিস্তৃত করতে সহায়তা করবে সে বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

এমন পরিস্থিতিতে, তিনি এআইয়ের সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলার জন্য জাতীয় পর্যায়ে কিছু সুপারিশ করেন। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় এআই কৌশল প্রণয়ন, জাতীয় শিক্ষাক্রমের এআইকে অন্তর্ভুক্ত করা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও নাগরিক স্বাধীনতাকে নতুন করে সংজ্ঞা দেওয়া, জরুরি রাষ্ট্রীয় সম্পদকে জাতীয়করণ করা, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ। আইসিএবি সভাপতি মাহমুদুল হাসান খুসরু স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অধিবেশন সঞ্চালনা করেন আইসিএবি এর সাবেক সভাপতি কামরুল আবেদীন।

ওয়েবিনারে প্যানেল বক্তা হিসাবে প্রথম আলো’র মুনির হাসান, এটুআই’র উপদেষ্টা অনির চৌধুরী, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকার্ণ কুমার ঘোষ, আইসিএবির নির্বাহী প্রধান শুভাশীষ বোস, আইসিএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়