Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
টিকা গ্রহণকারীদের চেয়ে করোনায় আক্রান্তদের রক্তে জমাট বাঁধার ঝুঁকি বেশি

রোববার

০৬ জুলাই ২০২৫


২২ আষাঢ় ১৪৩২,

০৯ মুহররম ১৪৪৭

টিকা গ্রহণকারীদের চেয়ে করোনায় আক্রান্তদের রক্তে জমাট বাঁধার ঝুঁকি বেশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০৩:০৫, ২৮ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ১৮:৪১, ২৮ আগস্ট ২০২১
টিকা গ্রহণকারীদের চেয়ে করোনায় আক্রান্তদের রক্তে জমাট বাঁধার ঝুঁকি বেশি

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (২৭ আগস্ট): করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণকারীদের চেয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের রক্তে জমাট বাঁধার ঝুঁকি বেশি রয়েছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। ব্রিটেনে করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন এমন ২ কোটি ৯০ লাখের বেশি মানুষের ওপর গবেষণা পরিচালনা করে তারা এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।

সমীক্ষায় গবেষকরা দেখেছেন, অ্যাস্ট্রজেনেকা বা ফাইজারের প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পরেও কোনো ব্যক্তির রক্তে জমাট বাঁধার ঝুঁকিতে থাকেন। তবে, এ ঝুঁকির মাত্রা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে আরও বেশি।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার উন্নয়নে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিশেষজ্ঞ দল কাজ করেছেন, এ গবেষক দল তাদের থেকে একেবারেই আলাদা।

রক্তে জমাট বাঁধার আশঙ্কায় অনেক দেশেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

ব্রিটেনের চিকিৎসা সাময়িকীতে গবেষকরা লিখেছেন, টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর অল্প সময়ের বিরতিতে রক্ত বা রক্ত-নালী সংক্রান্ত জটিলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এতে আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

সেই সঙ্গে গবেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে এ ধরনের জটিলতায় আক্রান্ত হবার শঙ্কা আরও অনেক বেশি।

এ গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিকাল এপিডেমিওলজি অ্যান্ড জেনারেল প্রাকটিসের অধ্যাপক জুলিয়া হিপিসলি-কক্স বলেছেন, ‘কোভিড -১৯ এর টিকা দেওয়ার পর লোকজনের এসব ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। তাদের মাঝে যদি এ ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে, মনে রাখতে হবে টিকা নেওয়ার চেয়ে করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার পর এসব ঝুঁকি অনেক বেশি।’

বর্তমানে ব্যবহৃত করোনাভাইরাসের সব ভ্যাকসিন এলোমেলোভাবে ক্লিনিকাল ট্রায়াল করা হয়েছে। যা বিরল কোনো প্রতিকূল লক্ষণ শনাক্ত করার জন্য যথেষ্ট নয়।

এই গবেষণাপত্রে গবেষকরা রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের স্বল্পমেয়াদী ঝুঁকি (২৮ দিনের মধ্যে) মূল্যায়ন করার জন্য ইলেকট্রনিক স্বাস্থ্য রেকর্ড ব্যবহার করেছেন।

১ ডিসেম্বর ২০২০ থেকে ২৪ এপ্রিল ২০২১ সময়ের মধ্যে সারা ইংল্যান্ড থেকে গবেষকরা ডেটা সংগ্রহ করে সেটা ব্যবহার করেছেন।

অধ্যাপক হিপিসলি-কক্স বলেন, ‘এই গবেষণাটি অন্যান্য অনেক গবেষণার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এতে উপযোগী, অল্প নমুনায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এতে ইলেকট্রনিক স্বাস্থ্যসেবার রেকর্ড ব্যবহার করা হয়েছে। এ রেকর্ডে টিকা, সংক্রমণ, টিকার প্রভাবের বিস্তারিত রয়েছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব লিসেস্টার, গাইস এবং সেন্ট থমাসের এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, ইনটেনসিভ কেয়ার ন্যাশনাল অডিট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি, এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটি এবং নটিংহাম ইউনিভার্সিটির একটি দল মিলে এ গবেষণা পরিচালনা করেছেন।  

সূত্র: স্কাই নিউজ

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়