Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2
বুলগেরিয়ার মুসলিম বিয়েতে অভিনব রীতি

বুধবার

২১ মে ২০২৫


৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২,

২৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

বুলগেরিয়ার মুসলিম বিয়েতে অভিনব রীতি

|| বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৬:২৯, ২ জানুয়ারি ২০২৪  
বুলগেরিয়ার মুসলিম বিয়েতে অভিনব রীতি

সংগৃহিত

বিছানায় চোখ বুজে চুপচাপ শুয়ে আছেন এক নারী। তাকে ঘিরে আছে একদল নারী। শুয়ে থাকা ওই নারীর মুখে প্রসাধনীর প্রলেপ বসাচ্ছেন তারা। নিখুঁতভাবে যত্ন করে বসানা হচ্ছে নানা রঙের চুমকি। আঁকা হচ্ছে ফুল। করা হচ্ছে নকশা। এমন বাহারি সাজ বুলগেরিয়ার মুসলিম জনগোষ্ঠী পোমাকের ঐতিহ্যবাহী বিয়ের। মুসলিম এই জনগোষ্ঠী পোমাকের বিয়ের অন্যতম মূল আকর্ষণ এই কনের মুখ পেইন্ট করে সাজানো।

বুলগেরিয়ার মুসলিম বিয়ে দুইদিন ধরে আয়োজন চলে। তারা তুর্কি-ওসমানিদের রীতি অনুযায়ী বিয়ে করে থাকেন। প্রথমদিনে বিয়ের সব উপহার কনের ঘরের বাইরে এনে রেখে আসা হয়। বিয়ের দ্বিতীয় দিন পুরো গ্রামবাসী উৎসবে মেতে ওঠে নাচে-গানে, হাসি-তামাশায়। রাস্তায় হয় ঐতিহ্যবাহী নাচ ‘হোরো’। গ্রামবাসীদের সাথে এই নাচে প্রথমে বর এবং পরে যোগ দেয় কনে।

এরপরই আসে কনের মুখ পেইন্ট করার পালা। বৈবাহিক জীবন শুরুর চিহ্ন হিসেবে কনের মুখ বিচিত্র রঙে রাঙিয়ে দেয়া হয়। এটি করতে সময় লাগে প্রায় দু’ঘণ্টা। পুরো সময়টিতে চোখ বন্ধ করে রাখেন কনে। তাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় অন্যরা। চোখ বন্ধ রেখেই আবার যোগ দেন বিয়ের অনুষ্ঠানে। বিয়ে শেষ হবার পরই মাত্র চোখ খুলতে পারে কনে। মুখ রাঙানোর এই প্রথাকে বলা হয় ‘জেলিনা’।

এরপর ইমাম এসে বিয়ে পড়িয়ে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ ও শুভকামনা জানান। এরপর বর কনেকে নিজের ঘরে নিয়ে আসেন এবং কনের মুখ থেকে রংগুলো মুছে ফেলেন। এমনই এক বুলগেরিয়ান কনে জেরোভা।


তিনি বলেন, বিয়ের আয়োজন দু’দিন ধরে চলে। প্রথম দিনটি বরকে উৎসর্গ করা হয়, তার অতিথি, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়রা আসে, চলে খাওয়া-দাওয়া। দ্বিতীয় দিনটি আমার- বন্ধু, আত্মীয়দের নিয়ে মজা করি।

পোমাক মুসলিম হল বুলগেরিয়া, উত্তর-পূর্ব গ্রিস ও উত্তর-পশ্চিম তুরস্কে বসবাসরত বুলগেরিয় স্লাভিক ভাষী মুসলিম সম্প্রদায়। বুলগেরিয়ায় বুলগেরিয় মুসলিম নামে স্বীকৃতি রয়েছে তাদের।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়