Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2
৬ বছরে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে এস আলম

শুক্রবার

০৮ নভেম্বর ২০২৪


২৪ কার্তিক ১৪৩১,

০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

৬ বছরে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে এস আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৯:৩০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
৬ বছরে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে এস আলম

সংগৃহিত

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৮৬ শতাংশেরও বেশি ঋণ নিয়েছে চট্রগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটি থেকে আলোচিত এ গ্রুপের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। আর এ ঋণগুলো ছয় বছরের (২০১৩-২০১৮) মধ্যে নেওয়া হয়েছে।

তথ্য মতে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সময়ে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৮৬ দশমিক ৪৫ শতাংশই নিয়েছে এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের শাখা থেকে এস আলম গ্রুপের সাথে যুক্ত ৫০ টিরও বেশি ট্রেডিং কোম্পানির মাধ্যমে ঋণ নেওয়া হয়েছিলো বলে জানা গেছে।

২০১৩ সালে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকটি দ্রুত এস আলম গ্রুপের দখলে আসে, যার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। গত মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এর বোর্ড পুনর্গঠন করে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ব্যাংকটির ৮০ শতাংশের বেশি ঋণ চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে বিতরণ করা হয়েছে।

খাতুনগঞ্জ শাখা এস আলম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত আট ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার ২৫০ কোটি ১৬ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে: গ্রিন এক্সপোজ ট্রেডার্সকে ১৫১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা; এপিক এবল ট্রেডার্সকে ১৬৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা; মোমেন্টাম বিজি সেন্টারকে ১৬০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা এবং মনির ট্রেড ইন্টারন্যাশনালকে ১৩৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

আরও জানা যায়, মাসুম ট্রেডিং হাউজকে ১৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা; হোসেন ট্রেডার্সের ১৬১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা; ডোমিনিয়ন কার্পাকে ১৬৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা; চৌধুরী অ্যান্ড হোসেন ট্রেডকে ১৪৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

২০১৩ সালে যাত্রা করে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক)। কিছুদিন পর গ্লোবাল ইসলামীতে এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে। এ ব্যাংক যা ঋণ দিয়েছে, তার বেশির ভাগই ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের নামে। এসব ঋণ এস আলম গ্রুপের বলেই জানিয়েছেন ব্যাংক দুটির ঋণ বিভাগের কর্মকর্তারা।

পি কে হালদারের সময় বিভিন্ন নামে টাকা বের করে নেওয়ার পর ব্যাংকটি আর খুব একটা ঋণ বিতরণ করেনি। বছরের পর বছর এসব ঋণ আর আদায় হয়নি। প্রতিবছর সুদযুক্ত হয়ে তা শুধু বাড়ছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক আলোচিত এ ব্যাংকটির আগের বোর্ড ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে। ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক করা হয়েছে মেঘনা ব্যাংকের সাবেক এমডি মোহাম্মদ নুরুল আমিনকে। তাঁর সঙ্গে থাকা অপর চার স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল মোল্লা, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সাবেক ডিএমডি নুরুল ইসলাম খলিফা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক আবু হেনা রেজা হাসান ও হিসাববিদ মু. মাহমুদ হোসেন।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়