শুক্রবার

১৯ এপ্রিল ২০২৪


৬ বৈশাখ ১৪৩১,

১০ শাওয়াল ১৪৪৫

তাপপ্রবাহে শিশুদের বাড়তি যত্ন

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৬:৪২, ১৩ এপ্রিল ২০২৩  
তাপপ্রবাহে শিশুদের বাড়তি যত্ন

সংগৃহীত

ডেস্ক রিপোর্ট: সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্নের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। জাতীয় শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এ সময়টাতে সবাইকে সোডিয়ামযুক্ত পানি পান করতে হবে। বেশি বেশি খেতে হবে তরল জাতীয় খাবার ও পানীয়।
 
তিনি বলেন, রোজা রেখে এ গরম মোকাবিলার জন্য একটাই উপায়, সোডিয়ামযুক্ত পানি পান করা। এ সময়ে প্রচণ্ড শরীর গরম থাকে, জ্বালাপোড়া করা, ঠোঁট ফেটে যাওয়া এগুলো কিন্তু অতিরিক্ত গরমের কারণেই হচ্ছে। আবহাওয়ার কারণেই মনে হয় হচ্ছে। গরমে মাংসপেশিতে ব্যথা হতে পারে অনেকের। ইফতারের পর প্রচুর পানি ও শরবত জাতীয় পানি পান করতে হবে। শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নিতে হবে এ সময়টাতে।
 
নামছেই না তাপমাত্রার পারদ। কয়েকদিনের টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকায় গরমের অনুভূতি এবার অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। পানিশূন্য হয়ে পড়ায় শরীরে জ্বালাপোড়াসহ দেখা দিচ্ছে নানা জটিলতা। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এ অবস্থায় বাড়তি যত্নের পরামর্শ চিকিৎসকের। 

এদিকে, গরমের তীব্রতা কিছুটা বেড়ে চলতে পারে আরও চার থেকে পাঁচ দিন এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
 
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, আগামী ৪-৫ দিন গরম আরও বাড়তে পারে। তারপর বিচ্ছিন্নভাবে দেশের কিছু জায়গায় সম্ভাবনা রয়েছে বৃষ্টির। এপ্রিল উষ্ণতম মাস, তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর তাপমাত্রা ২ থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি।
 
চৈত্রের কাঠফাটা রোদের হাত থেকে বাঁচতে এক টুকরো ছায়ার নিচে বসে নিজেকে ঝরিয়ে নিচ্ছেন রিকশাচালক মাসুম। নিজের জীবিকার হাতিয়ার রিকশাকে এক টুকরো ছায়ার আশ্রয় বানিয়েছেন তিনি। রিকশার নিচে শুয়ে ক্লান্ত শরীরে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। এ রকম অনেকেই একাজ করছেন সূর্যের প্রখর তাপ থেকে বাঁচতে।
 
সূর্যের প্রখর তাপ, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকাসহ নানা কারণে অন্যান্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এবারে গরমের অনুভূতিটা বেশি বলে জানান পথচারীরা।
 
বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকায় পানিশূন্য হয়ে পড়ছে শরীর। গলা শুকিয়ে যাওয়া, শরীরে জ্বালাপোড়া অনুভূত হওয়াসহ নানা অসুবিধার কথা জানাচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসারা। শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়