মঙ্গলবার

১৬ এপ্রিল ২০২৪


৩ বৈশাখ ১৪৩১,

০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অ্যালার্জির কারণ ও চিকিৎসা

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ২ মার্চ ২০২৩  
অ্যালার্জির কারণ ও চিকিৎসা

ফাইল ফটো

ডেস্ক রিপোর্ট: অ্যালার্জি বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের কাছে এক অসহনীয় ব্যাধি। অ্যালার্জিতে হাঁচি থেকে শুরু করে খাদ্য ওষুধের ভীষণ প্রতিক্রিয়া শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যালার্জি সামান্যতম অসুবিধা করে, আবার কারও ক্ষেত্রে অ্যালার্জি জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।

ঘরের ধুলাবালি পরিষ্কার করছেন? হঠাৎ করে হাঁচি এবং পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হলো। ফুলের গন্ধ নিচ্ছেন বা গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ গরুর দুধ খেলেই শুরু হতে পারে কারও কারও অ্যালার্জি।

প্রত্যেক মানুষের শরীরে একেকটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেম থাকে। কোনো কারণে ইমিউন সিস্টেমে গোলযোগ দেখা দিলে তখনই অ্যালার্জির বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

আমাদের শরীর সবসময়ই ক্ষতিকর বস্তুকে (পরজীবী, ছত্রাক, ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া) প্রতিরোধের মাধ্যমে রোগ-প্রতিরোধের চেষ্টা করে। প্রচেষ্টাকে রোগ-প্রতিরোধ প্রক্রিয়া বা ইমিউন বলে। কখনও কখনও আমাদের শরীর সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন অনেক ধরনের বস্তুকেও ক্ষতিকর ভেবে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। সাধারণত ক্ষতিকর নয়, এমন সব বস্তুর প্রতি শরীরের অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াকে অ্যালার্জি বলা হয়। অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী বহিরাগত বস্তুগুলোকে অ্যালার্জি উৎপাদক বা অ্যালার্জেন বলা হয়।

অ্যালার্জিজনিত সর্দি বা অ্যালার্জিক রাইনাইটিস: এর উপসর্গ হচ্ছে অনবরত হাঁচি, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া। কারও কারও চোখ দিয়েও পানি পড়ে এবং চোখ লাল হয়ে যায়।

অ্যালার্জিক রাইনাইটিস দুই ধরনেরÑসিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস: বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হলে একে সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বলা হয়।

পেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস: সারাবছর ধরে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হলে একে পেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বলা হয়।

লক্ষণ উপসর্গ

সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস: ঘন ঘন হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাসারন্ধ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া প্রভৃতি।

পেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস: পেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের উপসর্গগুলোর সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের উপসর্গগুলোর চেয়ে তীব্রতা কম হয় এবং স্থায়িত্বকাল বেশি হয়।

অ্যাজমা বা হাঁপানি: এর উপসর্গ হচ্ছে কাশি, ঘন ঘন শ্বাসের সঙ্গে বাঁশির মতো শব্দ হওয়া বা বুকে চাপ চাপ লাগা, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝেই ঠাণ্ডা লাগা প্রভৃতি।

 

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়