দুর্ঘটনা রোধে বেইজিংয়ের বাস চালকদের জন্য কবজিবন্ধ
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (২৫ সেপ্টেম্বর): আবেগ পর্যবেক্ষণে বেইজিংয়ের দূরপাল্লার বাস চালকদের ইলেকট্রনিক কবজিবন্ধ (রিস্টব্যান্ড) পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আবেক বোঝার প্রযুক্তি ব্যবহৃত এ কবজিবন্ধের মাধ্যমে বাস চালকদের মানষিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
চীনে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বেইজিং পাবলিক ট্রান্সপোর্ট হোল্ডিং গ্রুপ জননিরাপত্তা সুরক্ষার উদ্দেশ্যে এ উদ্যোগ নিয়েছে। তবে আইন বিশেষজ্ঞরা মানুষের প্রাইভেসি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এ কবজিবন্ধ বাস চালকদের অহেতুক চাপের কারণ হতে পারে এবং এর ফলে বৈষম্যের সৃষ্টি হতে পারে।
বেইজিং ডেইলি জানিয়েছে বুধবার বিভিন্ন রুটের বাস চালকদের মাঝে ১৮০০ কবজিবন্ধ বিতরণ করা হয়েছে। তবে আরও কি পরিমাণ বাস চালকের মাঝে এ কব্জিবন্ধ বিতরণ করা হবে সেটা জানা যায়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাসচালকদের মানষিক এবং আবেগের অবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে এ কবজিবন্ধ ব্যবহার করা হবে।
বেইজিংয়ে অনুষ্ঠেয় ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পঞ্চবার্ষিক কংগ্রেসের কয়েক সপ্তাহ আগে বাস চালকদের জন্য নতুন এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের এ সমাবেশের আগে চীন জুড়ে কর্মকর্তাদের বারবার সামাজিক ঝুঁকি কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে গুইঝোতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাওয়ার সময় একটি বাস দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হওয়ার পর এ উদ্যোগ বেশ গুরুত্বের সাথে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এ কবজিবন্ধের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা, হৃদস্পন্দন, শ্বাসযন্ত্রের হার, রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা, ব্যায়াম, রক্তচাপ এবং ঘুম পর্যবেক্ষণ করা যায়। এছাড়া এর মাধ্যমে উদ্বেগের মতো মানসিক অবস্থাও নিরীক্ষণ করা সম্ভব।
বেইজিংয়ের জিংশ ল ফার্মের সাইবার সিকিউরিটি লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর ওয়াং কংওয়েই বলেছেন, "সাম্প্রতিক সময়ে ঘন ঘন ট্র্যাফিক দুর্ঘটনার কারণে জননিরাপত্তা বিষয়টি বিবেচনা করে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
তবে বাস চালকদের কাছ থেকে এত ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজন আছে কিনা তা আমাদের বিবেচনায় নেওয়া উচিৎ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলিতে চীনে জনগণের ওপর নজরদারি করার জন্য ইলেকট্রনিক কবজিবন্ধ ব্যবহার করার খবর পাওয়া গেছে।
জুলাই মাসে শীর্ষ এক আইনজীবি জানিয়েছিলেন বলেছিলেন গ্রেপ্তারের সংখ্যা কমানোর উদ্যোগের অংশ হিসাবে যারা "কম গুরুতর" অপরাধ করেছে তাদের ওপর নজরদারি করতে ইলেকট্রনিক কবজিবন্ধ ব্যবহার করা হচ্ছে।