শনিবার

২৭ এপ্রিল ২০২৪


১৪ বৈশাখ ১৪৩১,

১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চীনের সামরিক শক্তির ব্যাপারে ন্যাটোর হুশিয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২৩:০৩, ১৫ জুন ২০২১   আপডেট: ২৩:২৩, ১৫ জুন ২০২১
চীনের সামরিক শক্তির ব্যাপারে ন্যাটোর হুশিয়ারি

চীনের পরমানবিক অস্ত্র সম্প্রসারণের বিষয়টি অস্পষ্ট । ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (১৫ জুন): চীনের সামরিক শক্তির উত্থানের ফলে সৃষ্ট হুমকির ব্যাপারে হুশিয়ারি দিয়েছেন ন্যাটো নেতৃবৃন্দ। ব্রাসেলসে আয়োজিত এক সম্মেলনে তারা চীনের সামরিক আচরণকে ‘সিস্টেমেটিক চ্যালেঞ্জ’ বলে উল্লেখ করেন। খবর বিবিসি।

ন্যাটো নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নের নামে দ্রুততার সঙ্গে চীনের পরমানবিক অস্ত্র সম্প্রসারণের বিষয়টি ‘অস্পষ্ট’। সামরিক ভাবে তারা রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা করছে বলেও নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন।

ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টোলটেনবার্গ হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, সামরিক এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার দিক দিয়ে চীন ন্যাটোর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ন্যাটো জোট চীনের সঙ্গে কোন ধরনের শীতল যুদ্ধে জড়াতে চায় না।

এর জবাবে ইইউতে চীনের দূত এক টুইটার বার্তায় ন্যাটের বিরুদ্ধে চীনের শান্তিপূর্ণ উন্নয়নকে খাটো করার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, চীন প্রতিরক্ষা নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আত্মরক্ষার জন্যই এর উন্নয়ন করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, চীন কারো জন্য ‘সিস্টেমেটিক চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়াবে না। তবে কোন সিস্টেমেটিক চ্যালেঞ্জ যদি আমাদের কাছাকাছি আসে, তবে আমরা বসে থাকবো না।

গত কয়েক বছর ধরেই ন্যাটোর উদ্দেশ্য এবং এর তহবিল নিয়ে বিতর্কের জেরে জোটের সদস্যদের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক অবদান এবং ইউরোপীয় অংশীদারদের নিরাপত্তার প্রশ্নে প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে। তবে তার উত্তরসুরি জো বাইডেন ৭২ বছরের ন্যাটো জোটকে আবারো সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

বাইডেন বলেছেন, মার্কিন স্বার্থের জন্য ন্যাটো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ন্যাটো প্রতিষ্ঠাকালীন চুক্তির পঞ্চম ধারা মেনে চলাও জোটের প্রত্যেকের পবিত্র দায়িত্ব। চুক্তির ওই ধারাতে প্রত্যেক সদস্যকে হামলা থেকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।

এদিকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন এবং ন্যাটো জোটের সেনা প্রত্যাহার করার পরেও কাবুল বিমানবন্দর সচল রাখার ব্যাপারে ন্যাটো নেতৃবৃন্দ একমত হয়েছেন। জোট সদস্য তুরস্ক এক্ষেত্রে সেনা প্রত্যাহারের পর ওই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং পরিচালনা করার প্রস্তাব দিয়েছে।             

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়