কাতার বিশ্বকাপে সমর্থকদের গানে নিষেধাজ্ঞা, পোশাক নিয়েও আপত্তি
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (২৩ নভেম্বর): ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কের মুখে পড়ছে কাতার। এ বার সমর্থকদের গান গাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় পুলিশ। এ ছাড়া বিশেষ কিছু পোশাকের ব্যাপারেও আপত্তি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিশ্বকাপ চলাকালীন রাস্তায় সমর্থকদের গান গাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের আপত্তির পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক সমর্থকের পোশাক নিয়েও আপত্তি করেছেন স্থানীয়রা। তারা অভিযোগ করছেন, সেই সব পোশাক কাতারের জনগণের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে। ইতিমধ্যেই সমকামী সম্পর্কের সমর্থন করায় বেশ কিছু দর্শককে স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
কাতার পুলিশ প্রথম নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইকুয়েডরের সমর্থকদের উপর। উদ্বোধনী ম্যাচে কাতারকে ২-০ গোলে হারানোর পরে রাস্তায় গান গাইতে গাইতে যাচ্ছিলেন ইকুয়েডরের সমর্থকরা। প্রচণ্ড জোরে গান গাওয়ায় শব্দদূষণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর তারা পুলিশের হস্তক্ষেপ চান। তার পরেই পুলিশ ইকুয়েডরের সমর্থকদের গান গাইতে নিষেধ করে। একই ঘটনা ঘটেছে ইংল্যান্ডের সমর্থকদের সঙ্গে। তাদেরও রাস্তায় গান গাইতে নিষেধ করেছে পুলিশ। নির্দেশ না মানলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
কাতারের এসব সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। তাদের অভিযোগ, প্রিয় দল জিতলে আনন্দ করার অধিকার সবার রয়েছে। স্টেডিয়াম থেকে সেই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে রাস্তায়। জোর করে সেটা বন্ধ করা যায় না।
স্টেডিয়ামে নানা রকমের পোশাক পরে খেলা দেখতে যান সমর্থকরা। কিছু কিছু পোশাকে আপত্তি করেছেন দোহার বাসিন্দারা। তারা পুলিশকে জানিয়েছেন, এই সব পোশাক সে দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য পূর্ণ নয়। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই প্রসঙ্গে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
কাতারে সমকামী সম্পর্ক অপরাধ। তাই বিশ্বকাপের আগে অনেক সমর্থক দাবি করেছিলেন, প্রতিযোগিতা চলাকালীন তারা সমকামী সম্পর্কের সমর্থনে প্রচার চালাবেন। তাই তারা বিশেষ পোশাক পরে এসেছিলেন। কিন্তু সেই বিশেষ পোশাক পরা কাউকে স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এই নিয়েও বিতর্কের মুখে পড়েছে কাতার।