শুক্রবার

২৬ এপ্রিল ২০২৪


১৩ বৈশাখ ১৪৩১,

১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

সার্বিয়াকে হারিয়ে ব্রাজিলের উড়ন্ত সূচনা

নিজস্ব প্রতিনিধি || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১২:১০, ২৫ নভেম্বর ২০২২   আপডেট: ১২:১১, ২৫ নভেম্বর ২০২২
সার্বিয়াকে হারিয়ে ব্রাজিলের উড়ন্ত সূচনা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (২৫ নভেম্বর): কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম ম্যাচের ৭৩ মিনিটে সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের রিচার্লিসনের দ্বিতীয় গোলটি যে ‘উড়ন্তভাবে দেওয়া গোল’। দৃষ্টিনন্দন এক চমৎকার গোল। এবং এর আগে ব্রাজিলের ডেডলক ভাঙা প্রথম গোলটিও এসেছে রিচার্লিসনের পা থেকে। এভাবে দুর্বার রিচার্লিসনে ম্যাচজুড়ে আক্রমণাত্মক ফুটবলের আলো ছড়িয়ে সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।

ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচের শুরুতে কিছুটা নিচে নেমে এসে আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করে তারা। খেলা শুরুর মাত্র ৪ মিনিটে সেভাবে গড়া আক্রমণ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে আক্রমণ শাণিয়ে ছিল রাফিনিয়া। তবে ঠিকঠাক ক্রস করতে না পারায় বিপদে পড়তে হয়নি সার্বিয়াকে।

এরপর ম্যাচের ৯ মিনিটের দিকে ফের আক্রমণে যাওয়ার সুযোগ পায় ব্রাজিল। কাসেমিরোর কাছ থেকে পাওয়া পাস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েও সার্ব ডিফেন্সের জটলা এড়িয়ে শট নিতে ব্যর্থ হন নেইমার। এদিকে, ১৩ মিনিটে প্রবল গতিতে সার্বিয়ান ডিফেন্সে ঢুকে পড়েছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তবে কর্নারের বিনিময়ে সেই আক্রমণ ঠেকায় সার্বিয়া।

ব্রাজিলের আক্রমণাত্মকভাবে খেলার কারণে এ সময় সার্বিয়ার প্রায় সবাই  নিচে নেমে ডিফেন্ড করতে শুরু করে। ২১ মিনিটে কাসেমিরোর দূরপাল্লার শট সরাসরি গিয়ে জমা হয় সার্বিয়ান গোলরক্ষকের গ্লাভসে। শুরুর কয়েক মিনিট বাদ দিলে ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটে ব্রাজিলের প্রেসিং সামলেই সময় পার করেছে সার্বিয়া।

তবে, ২৬ মিনিটে সার্বিয়া প্রথমবার বলার মতো কোনো আক্রমণ তৈরি করে। অবশ্য তা বিফল হয়। এর দুই মিনিট পর থিয়াগো সিলভার দুর্দান্ত থ্রু পাস খুঁজে নিয়েছিল ভিনিসিয়ুসকে। তখন, সার্বিয়ান গোলরক্ষক এগিয়ে এসে দারুণভাবে আটকে দেন সেই আক্রমণ।

ব্রাজিলের আক্রমণাত্মক ফুটবলে রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে পড়ে সার্বিয়া। নিজেদের অর্ধ ছেড়ে মাঝমাঠও পেরোতে পারছিল না তারা। অবশ্য নিজেরা সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও ব্রাজিলকে ঠেকিয়ে রাখার কাজটা বেশ ভালোভাবেই সার্বিয়া করে যাচ্ছিল।

এভাবে, ৩৫ মিনিটে ও ৪২ সিনিটে দারুণ দুটি সুযোগ নষ্ট করে ব্রাজিল। প্রথমার্ধ গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের রাফিনিয়ার সামনে সুযোগ এসেছিল ব্রাজিলকে এগিয়ে দেওয়ার। এবারও তাকে ঠেকিয়ে দেন সার্বিয়ান গোলরক্ষক। একটু পর ডি-বক্সের একটু বাইরে ফ্রি-কিক পায় ব্রাজিল। অবশ্য, দারুণ এ সুযোগ পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি নেইমার।

এরপর ৬০ মিনিটে আলেক্স সান্দ্রোর ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া দ্রুতগতির শট গোলরক্ষকের দেওয়াল পেরিয়ে পোস্টে লেগে ফিরে আসে।এরপর ৬২ মিনিটে রিচার্লিসন ঠিকই ভেঙে দেন সার্বিয়া ডিফেন্স। আক্রমণটা তৈরি করেছিলেন নেইমার।  অবশ্য, শট নেওয়ার জায়গা বের করার আগেই ফাঁকা পেয়ে দ্রুত শট নিয়ে নেন পাশে থাকা ভিনিসিয়ুস। রিয়াল মাদ্রিদ তারকার প্রচেষ্টা সার্বিয়ান গোলরক্ষক মিলিনকোভিচ সাভিচ ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি শটে বল জালে জড়ান রিচার্লিসন।

গোল খাওয়ার পর সার্বিয়া দুই একবার ব্রাজিল ডিফেন্সে হানাও দেয়। তবে সমতাসূচক গোলটি আসেনি। উল্টো বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা মুহূর্তটি উপহার দিয়ে ব্রাজিলকে জোড়া গোলে এগিয়ে দেন রিচার্লিসন।৭৩ মিনিটের নান্দনিক ওই গোলটি ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখার মতোই চমৎকার। এভাবে ২-০ গোলে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচে উড়ন্ত জয় হয়।

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়