মঙ্গলবার

৩০ এপ্রিল ২০২৪


১৭ বৈশাখ ১৪৩১,

২১ শাওয়াল ১৪৪৫

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৯:০৭, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২   আপডেট: ২০:০০, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা বাংলাদেশের

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (১৯ সেপ্টেম্বর): নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ৩-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে শিরোপা অর্জন করেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সাফের নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাসে তুলির শেষ আচড় দিল বাংলার বাঘিনীরা। 

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের আগের পাঁচ আসরেই চ্যাম্পিয়ন দলটির নাম ভারত। এবার সেই ভারত বাদ সেমিফাইনাল থেকেই। ফাইনালের মহারণে স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি বাংলাদেশ। দুই দলের সামনেই সাফের নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস লেখার হাতছানি। নিজেদের মাঠে নেপালকে দর্শক বানিয়েই সেই ইতিহাস লিখল সাবিনা-সানজিদারা।

ম্যাচের প্রথমার্ধ্বেই শামসুন্নাহার জুনিয়র আর কৃষ্ণা রাণী সরকারের গোলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধ্বে একটি গোল শোধ দিলেও ৩-১ গোলের পরাজয় নিয়েই পঞ্চমবারের মতো রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট হতে হয় হিমালয় কন্যাদের।

নেপালের মাঠে খেলা, তা ছাড়া দলটির বিপক্ষে অতীত পরিসংখ্যানও কথা বলে না সাবিনাদের পক্ষে। আজকের ফাইনালে দশরথ স্টেডিয়াম পূর্ণ কানায় কানায়। পরিস্থিতির বিচারে নানাদিক দিয়ে এগিয়ে ছিল নেপাল। 

ভূটানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে পাওয়া চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠলেও নির্ভরযোগ্য ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্নাকে  শুরুর একাদশে রেখেই দল সাজানো হয়েছিল। তবে, ম্যাচ শুরুর মাত্র ১০ মিনিটের মাথাই বাংলাদেশের বিপদ বাড়িয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। অবশ্য, স্বপ্নার পরিবর্তে মাঠে নেমেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার কাজটি কত দারুণভাবে করলেন শামসুন্নাহার। মাঠে নামার মাত্র মিনিট দুয়েকের মাথাই রঙ্গশালার গ্যালারিকে স্তব্ধ করে মণিকা চাকমার ডান প্রান্ত থেকে করা ক্রস বক্সের মধ্যে থেকে কোণাকুণি প্লেসিংয়ে জড়িয়ে দেন নেপালের জালে। 

এরপর ৩৫তম মিনিটে ফ্রি কিক পায় নেপাল নারী দল। তবে, গোলরক্ষক রুপনা চাকমার দক্ষতায় রক্ষা পায় বাংলার মেয়েরা। গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়া ম্যাচে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করে নেপাল। আক্রমণের ধারও বাড়িয়েছে নেপালী মেয়েরা। খেলার ধারার বিপরীতে গিয়েই দ্বিতীয় গোলটি করে ম্যাচের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বাংলাদেশ। ৪১ মিনিটে নেপালের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে যান সাবিনা। সেই বলে বাঁ পায়ের শটে গোল ব্যবধান ২-০ করে দেন কৃষ্ণা রাণী সরকার।

খেলার দ্বিতীয়ার্ধ্বের শুরু থেকে আক্রমণের ধার বাড়ায় স্বাগতিক নেপাল। কয়েকবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পাারেনি নেপাল। অবশেষে ম্যাচের ৭০তম মিনিটে  ফরোয়ার্ড আনিতা বাসিতের গোলে ব্যবধান কমিয়ে ২-১ করে নেপাল। ব্যবধান কমানোর পর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালায় নেপাল। তবে, নেপালের ম্যাচে ফেরার আশা শেষ করে দেন বাংলাদশের নাম্বার নাইন কৃষ্ণা রাণী সরকার। কৃষ্ণা নেপালের সব চেষ্টাকে থামিয়ে দিয়ে ম্যাচের ৭৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। মিডফিল্ড থেকে পাওয়া থ্রু পাস থেকে আগুয়ান নেপাল গোলরক্ষককে দারুণভাবে পরাস্ত করেন কৃষ্ণা।

স্বর্ণালী ইতিহাসের হাতছানি নিয়ে মাঠে নেমেছিল সাবিনারা। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে সে ইতিহাস গড়ে দক্ষিণ এশিয়ার সেরার মুকুট মাথায় তুলে নিল বাংলার বাঘিনীরা।

Nagad
Walton

সর্বশেষ