শনিবার

২৭ এপ্রিল ২০২৪


১৪ বৈশাখ ১৪৩১,

১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের ভাস্কর্য

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২০:৪৯, ৭ মার্চ ২০২১   আপডেট: ২১:০৩, ৭ মার্চ ২০২১
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের ভাস্কর্য

ছবি: বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দেওয়ার স্থান

ঢাকা (০৭ মার্চ): ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৮ মিনিটের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিলো বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। আপামর বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছে এই ভাষণ। 

বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স  ময়দানের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) যে স্থানটিতে দাঁড়িয়ে এই ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন সেই জায়গাটি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের তৎকালীন মঞ্চের আদলে সাজানো হচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের (৩য় পর্যায়) আওতায় এটি বাস্তবায়ন করা হবে। 

স্বাধীনতা স্তম্ভ নিমার্ণ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা রমনা গণপূর্ত উপ-বিভাগ-১ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী  হুমায়ুন কবির এ প্রসঙ্গে বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ’কে জানান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে আগামি প্রজন্মকে জানাতে ৩০ ফুট প্রশস্ত সৌন্দর্যবর্ধন জলধারার উপর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ যেভাবে মঞ্চ সাজানো হয়েছিল সেই একই মঞ্চের আকৃতিতে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ভাস্কর্য।

জানা গেছে, ভাষণের ভাস্কর্য মঞ্চের চারদিকের পুরো স্থানটিকে বিভিন্ন লেজার লাইটের মাধ্যমে আলোকিত করা হবে। পাশাপাশি থাকবে ফুলের বাগান, জলধারার মাঝখানে গ্লাস টাওয়ার ও শিখা চিরন্তন বরাবর ৪০ ফিট প্রশস্ত পেডেস্ট্রেন রোড। নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের জলধারার নিচে ঠিক মঞ্চটির আন্ডারগ্রাউন্ডে প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গার উপর গাড়ি রাখার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। সেখানে প্রায় ৫৬০টি গাড়ি একসঙ্গে রাখা যাবে। আন্ডার গ্রাউন্ডে যাতায়াত করার জন্য দুটি রাস্তা এবং তিনটি সিঁড়ি থাকবে। এছাড়া শিশু ও বয়স্কদের জন্য থাকছে দুইটি লিফট।

এছাড়া আগত দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে ৭টি ফুড কোর্ট। মঞ্চটির পাশেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও শিশু পার্কে আগত দর্শনার্থীদের জন্য ৫০ ফিট লম্বা ও ৫০ ফিট চওড়া দৃষ্টিনন্দন একটি মসজিদসহ জনসভার জন্য স্থায়ী মঞ্চ নির্মাণ করা হচ্ছে। থাকছে গ্লাস টাওয়ারের চারদিকে গ্রিন হেজ বাউন্ডারি ও ৪৪টি আধুনিক ফুলের দোকান।

গণপূর্ত অধিদপ্তর অধীনে বাস্তবায়িত হওয়া প্রকল্পটিতে ব্যয় হচ্ছে ১০০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হবে ২০২৩ সালের ২২ জুন।
 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়