জনগণ যত তথ্য পাবে, তাদের জীবনমানের তত উন্নয়ন ঘটবে: প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (২৭ সেপ্টেম্বর): জনগণ যত তথ্য পাবে, তাদের জীবনমানের তত উন্নয়ন ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তথ্য কমিশন সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় তথ্য অধিকার আইনের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং জনগণের তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিরাজমান বাধাসমূহ দূর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বুধবার ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য-‘তথ্য প্রযুক্তির যুগে জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত হোক’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
তথ্য কমিশন তথ্য বঞ্চিত জনগণের অভিযোগ আমলে নিয়ে নিয়মিত শুনানির মাধ্যমে তাদের তথ্য প্রাপ্তিকে নিশ্চিত করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন মাধ্যমে স্ব-প্রণোদিত তথ্য প্রকাশের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনগণ যত তথ্য পাবে, তাদের জীবনমানের তত উন্নয়ন ঘটবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের তথ্যের অধিকারকে সম্মান দিয়ে নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ পাস করে এবং এর আওতায় তথ্য কমিশন গঠন করেছে। ফলে জনগণ ও গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রাপ্তির অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশে গণমাধ্যমের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় সব সময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছি। তথ্যের অবাধ প্রবাহকে আরো বিস্তৃত করতে আমরা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি ওয়ার্ল্ড এবং সংসদ টেলিভিশনের পাশাপাশি ৪৫টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং ২৮টি এফএম বেতার কেন্দ্র এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচারের অনুমতি দিয়েছি। এতে তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের ব্যবস্থা সহজতর হয়েছে। সংসদ টেলিভিশন চালুর ফলে গণমানুষের কাছে সংসদের কার্যক্রম সরাসরি পৌঁছানো সহজ হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, তথ্য অধিকার আইনের অধিকতর ব্যবহারের মাধ্যমে মুক্ত সমাজ গঠন ও জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে, গণতন্ত্র ও সুশাসন আরো সুদৃঢ় হবে। জাতির পিতার ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে দেশ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। তথ্য কমিশন আমাদের সরকারের এ উদ্যোগকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।