শনিবার

২৭ এপ্রিল ২০২৪


১৪ বৈশাখ ১৪৩১,

১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন অস্বীকারের উপায় নেই: জাহিদ মালেক

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৯:০৯, ২৮ জুন ২০২২  
স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন অস্বীকারের উপায় নেই: জাহিদ মালেক

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি, সংগৃহিত

ঢাকা (২৮ জুন): স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কিছুদিন আগেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন ছিল না। এখন অনুমোদন পেয়েছি, শিশুদের জন্য উপযোগী টিকাও আমাদের হাতে এসেছে। শিগগিরই ৫-১২ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। স্বাস্থ্যের উন্নয়ন কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। শিক্ষা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নও হচ্ছে। টিকায় আমরা উন্নয়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। আমরা শিশুমৃত্যু হার কমিয়েছি।

আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিস-অর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) আয়োজিত ‘সার্টিফিকেট কোর্স অন নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিস-অর্ডার’ শীর্ষক কোর্সের উদ্বোধনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি পরিসংখ্যান বলছে দেশে ৫-১২ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখ। তাদের জন্ম সনদ দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপে টিকার নিবন্ধন করতে হবে। যারা এখনো নিবন্ধন করেনি তাদের অভিভাবকদের অনুরোধ করব দ্রুত নিবন্ধন করুন। 

তিনি বলেন, কালাজ্বর, কলেরা, ডায়রিয়া, সব কিছুই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এক সময় পর এসবে গ্রামের গ্রাম মানুষ মারা যেত। আমরা অনেক কাজ করেছি। বর্তমানে মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গবেষণায় গুরুত্বারোপ করেছেন। গবেষণার মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশে আগে বাইপাস সার্জারি হতো না, এখন অহরহ হচ্ছে। ট্রান্সপ্লান্ট হতো না, এখন হচ্ছে। আগে আমরা ওষুধ আমদানি করতাম, এখন রফতানি করি। টিকা তৈরির পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে গোপালগঞ্জে জায়গা নিয়েছি। সেখানেই সকল টিকা উৎপাদন করব।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু অনুষদের ডিন ও ইপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার। অনুষ্ঠান ২০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়