নেতা মোদের শেখ মুজিব গ্রন্থের মোড়কউন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে’
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার
‘নেতা মোদের শেখ মুজিব’ গ্রন্থের মোড়কউন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ঢাকা (০৭ ডিসেম্বর): বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাঙালির ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে গবেষণাধর্মী গ্রন্থ ‘নেতা মোদের শেখ মুজিব’। যা আজ মঙ্গলবার গণভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে মোড়ক উন্মোচন করেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় গ্রন্থটির সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রন্থের সম্পাদক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি। উদ্বোধনী আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রন্থের সম্পাদনা পর্ষদের সাথে যুক্ত অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রধান গবেষক নাজমুল হোসেন এবং গ্রন্থটির প্রকাশক মাওলা ব্রাদার্সের আহমেদ মাহমুদুল হক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল বিশ্বের সারিতে প্রবেশ করেছে। মুজিব শতবর্ষে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশি মাথাপিছু আয়ের দেশ।
অনুষ্ঠানে ‘নেতা মোদের শেখ মুজিব’ গ্রন্থের সম্পাদক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উপহাস করে বলা হয়েছিল তলাবিহীন ঝুঁড়ি। সেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল বিশ্বের রোলমডেল। সব সম্ভব হয়েছে আওয়ামী লীগের কল্যাণে। কারণ আওয়ামী লীগের কাণ্ডারী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি, স্বাধীনতা আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছি স্বনির্ভর বাংলাদেশ।
নেতা মোদের শেখ মুজিব
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন দূরদর্শী নেতা। তার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রাম এবং চূড়ান্তভাবে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। শেখ মুজিব মহত্তম বাঙালি, ইতিহাসের মহানায়ক এবং বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা। পূর্ব বাংলার এই জনপদ যেটি আজ ‘বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত সেখানে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন অধরাই থেকে যেত। জাতির পিতার সাহস, বিচক্ষণতা, দূরদৃষ্টি ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণেই আজ বাংলাদেশ স্বাধীন। তাই বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা সমার্থক।
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে তৃণমূল পর্যায়ে প্রসারিত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পদে পদে বাধা দেওয়া হয়েছে, শত বাধা মোকাবিলা করে অদম্য মুজিবের সাহসিকতা আর একাগ্রতায় কিছুদিনের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে আওয়ামী মুসলিম লীগ। শেখ মুজিব ইতিহাসের পথপরিক্রমা বুঝেই সঠিক পথেই হেঁটেছেন। তাইতো বাঙালি পেয়েছে বহুকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বাঙালির ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে গবেষণাধর্মী গ্রন্থ ‘নেতা মোদের শেখ মুজিব’।
‘নেতা মোদের শেখ মুজিব’ পিক্টোরিয়াল গ্রন্থে তুলে ধরা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সময়কালের (১৯৪৯-১৯৭৫) আওয়ামী লীগের সচিত্র ইতিহাস। তুলে ধরা হয়েছে রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা, চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বাঙালির কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা আওয়ামী লীগে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং অতুলনীয় নেতৃত্বের সঠিক ইতিহাস। এই গ্রন্থটিতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত প্রতিটি সম্মেলন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নাম, নির্বাচনী ইশতেহারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দলিল সন্নিবেশিত রয়েছে। ৫১৬ পৃষ্ঠার ‘নেতা মোদের শেখ মুজিব’ গ্রন্থটির পাণ্ডুলিপি পরিমার্জন এবং সংশোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
'নেতা মোদের শেখ মুজিব' গ্রন্থের সম্পাদনা পর্ষদে আরও আছেন মাহবুব উদ্দীন আহমদ বীর-বিক্রম, এন আই খান, মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান, ড. মো. হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, সৈয়দ বেলাল হোসেন ও মো. শরীফ মাহমুদ অপু। গবেষণায় সম্পৃক্ত ছিলেন রাজিব দাস, সৈয়দ মিজানুর রহমান, সাফিয়া তাসনিম খান প্রমুখ।