সরকারকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর ক্ষমতা দিয়ে গেজেট প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (০১ ডিসেম্বর): বিশেষ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সরাসরি বাড়ানো বা কমানোনোর ক্ষেত্রে সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন), অধ্যাদেশ, ২০২২’ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর জ্বালানি বিভাগ থেকে পাঠানো বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি (সংশোধন) আইন, ২০২২-এর খসড়া মন্ত্রিসভায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বর্তমানে জাতীয় সংসদের অধিবেশন না থাকায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করেছেন।
আইনের মূল সংশোধনে বলা হয়েছে, এই আইনের অন্যান্য বিধানে যা কিছু থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে ভর্তুকি সমন্বয়ের জন্য জনস্বার্থে কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালি কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে এসবের উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুতকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্র্নিধারণ বা সমন্বয় করতে পারবে।
এত দিন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করত। এখন দাম বাড়ানোর জন্য এই শুনানির দরকার হবে না। সরকার প্রয়োজন মনে করলে দাম বাড়াতে পারবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রস্তাব অনুমোদনের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিদ্যমান আইনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বিইআরসি ৯০ দিন সময় নিয়ে নির্ধারণ করে। বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকারও যেন তা নির্ধারণ করতে পারে এজন্যই প্রস্তাবিত এ সংশোধনী মন্ত্রিসভা অনুমোদন করে।
তিনি আরও জানান, বেসরকারিভাবে জ্বালানি তেল, এলপিজি ও এলএনজি আমদানি করা যাবে। আমদানি করা জ্বালানি তারা যেন বিক্রিও করতে পারে এ নিয়ে বৈঠকে আলাদাভাবে আলোচনা হয়েছে। আমদানিকারকরা এসব জ্বালানি চাইলে বিপিসিতে-ও বিক্রিও করতে পারবে। এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি তবে তা মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এটা করা গেলে সরকারের ওপর চাপ কমবে। এতে দামে প্রভাব পড়বে না। সরকার মনিটরিং করবে। দাম তখন কম পড়বে।