ফেসবুক, ইউটিউবের বিকল্প তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: পলক

ঢাকা (২৪ জুলাই): আত্মনির্ভরশীলতা বাড়াতে বাংলাদেশ সরকার ফেসবুক, ইউটিউব এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বিকল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আজ শনিবার দুপুরে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে সংগঠন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স (উই)’র একটি ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান।

জুমের বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে ‘বৈঠক’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। মহামারির সময়ে তার মাধ্যমে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বৈঠক’ প্লাটফর্মের মাধ্যমে আমরা গুরুত্বপূর্ণ সভা করছি। জুমের মতো এই প্লাটফর্মে এখন ১০০ জনের বেশি অংশগ্রহণ করতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি একবারে ৩০০ জনের সক্ষমতা অর্জনের। সেটা করতে পারলেই উইকে আমরা নিজেদের উদ্ভাবন ব্যবহার করার সুযোগ দিতে পারবে। এক ঘণ্টার ওপরে বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে। এর বেশি করতে গেলে অল্প কিছু খরচ পড়বে।

এ সময় তিনি নিজেদের পরবর্তী পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেন,আমাদের এখনকার লক্ষ্য হচ্ছে, উইম্যান অ্যান্ড ই-কমাসের যেমন নিজস্ব ফেসবুক গ্রুপ আছে, ওই রকম একটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিজেদের তৈরি করা। আমাদেরই একটা মাধ্যম থাকবে, ফেসবুকের বিকল্প হিসেবে। যার মাধ্যমে আমাদের উদ্যোক্তারা নিজেদের তথ্য-উপাত্ত এবং তাদের যোগাযোগের জন্য একটা অনলাইন মার্কেট প্লেসে নিজেদের মধ্যে হতে পারে একটা চমৎকার গ্রুপ তারা তৈরি করতে পারে। সেটা কোনো কারণে যাতে বিদেশনির্ভর হতে না হয়। তার জন্য আমরা ‘যোগাযোগ’ নামে একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

এখন ইউটিউবের মতো স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে উদ্যোক্তারা বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। তাতে অনেক টাকা চলে যায়। সরকার রাজস্ব হারায়। এই ভাবনা থেকে ইউটিউবের বিকল্প তৈরি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা একটা স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। সেটিও আশা করছি অল্পদিনের মধ্যে তৈরি করতে পারব। এর সঙ্গে আমরা হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হিসেবে ‘আলাপন’ নামের একটি অ্যাপ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি।