বাংলাদেশ দূতাবাস, ব্যাংককে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: সংগৃহীত
ব্যাংকক, (১০ জানুয়ারি ২০২৩): আজ বাংলাদেশ দূতাবাস, ব্যাংকক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ আব্দুল হাই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও মিশন উপপ্রধান মিজ মালেকা পারভীন, এনডিসি এবং মিনিস্টার (কনস্যুলার) জনাব হাসনাত আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এর উপর একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এ আয়োজনে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনাপর্বে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। আলোচনার শুরুতে দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মিজ দয়াময়ী চক্রবর্ত্তী বঙ্গবন্ধুর ১০ জানুয়ারি তারিখে প্রদত্ত ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরেন। দূতাবাসের মিনিস্টার (কনস্যুলার) জনাব হাসনাত আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু্র ৭ই মার্চের ভাষণ যেমন স্বাধীনতা সংগ্রামের দিক নির্দেশনা প্রদান করেছিল, তেমনি ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দিক নির্দেশনা প্রদান করেছে। মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ আব্দুল হাই তাঁর বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং কূটনৈতিক পর্যায়ে দিনটির তাৎপর্য সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং তাঁর মানবিক গুণাবলির কথা উল্লেখ করে বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সদ্য স্বাধীন দেশে ফিরে নতুন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী দিক নির্দেশনা আজও প্রাসঙ্গিক।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান জনাব মোঃ মাসূমুর রহমান।