জাতিসংঘ শান্তিবিনির্মাণ কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত বাংলাদেশ
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা
ঢাকা (০২ ফেব্রুয়ারি): জাতিসংঘ শান্তিবিনির্মাণ কমিশনের (পিবিসি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। মঙ্গলবার রাতে নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদরদপ্তরে পিবিসির চেয়ার ও ভাইস-চেয়ারদের নির্বাচনে সর্বসম্মতিক্রমে তিনি ২০২২ সালের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হন। ফাতিমা হলেন পিবিসির প্রথম নারী সভাপতি। খবর ইউএনবি।
পিস বিল্ডিং কমিশন (পিবিসি) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সংস্থা। এ সংস্থা সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে শান্তি বিনির্মাণের জন্য কাজ করে, যাতে সংঘাতের পুনরাবৃত্তি রোধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়। সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ইকোসক) থেকে নির্বাচিত সদস্যসহ ৩১ জন সদস্যের সমন্বয়ে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় পিবিসি। জাতিসংঘে শীর্ষ অর্থ প্রদানকারী ও শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোও কমিশনের সদস্য।
দায়িত্ব গ্রহণের পর বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, যখন কোভিড-১৯ অতিমারি শান্তি বিনির্মাণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে ঠিক তেমনই এক চ্যালেঞ্জিং সময়ে পিবিসি পরিচালনার জন্য সদস্যরাষ্ট্রসমূহ বাংলাদেশের প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে বাংলাদেশকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেছে, সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন ও শান্তি বিনির্মাণের ক্ষেত্রে কোভিড অতিমারি যে প্রভাব ফেলেছে তা প্রশমিত করতে আমরা বৈশ্বিক সংহতি এগিয়ে নিতে বিশেষ মনোযোগ দেব।’
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, শান্তিরক্ষীরা যে সব দেশে নিয়োজিত সেই দেশসমূহের উন্নয়নে তারা যে অবদান রেখে চলেছে, শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সবসময়ই তা গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করে।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি শান্তিবিনির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত ও টেকসই অর্থায়ন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এক্ষেত্রে পিবিসি সদস্য ও অন্যান্য অংশীজনের সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। জাতীয় পর্যায়ে শান্তি বিনির্মাণ ও টেকসই উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে সুসংহত ও কার্যকর শান্তিবিনির্মাণ প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে যে সকল সংস্থা, তহবিল, কর্মসূচি এবং জাতিসংঘের কান্ট্রি টিম কাজ করছে তাদের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল রাখতে আমরা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাব।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠানকাল থেকেই পিবিসি’র সদস্য। এর আগে ২০১২ সালে বাংলাদেশ পিবিসি’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
এছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ইউএন উইমেন এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে।
এর আগে এলডিসি-৫ প্রস্তুতিমূলক কমিটির কো-চেয়ার, ইউনিসেফ এক্সিকিউটিভ বোর্ড প্রেসিডন্ট, ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ এবং ইউএনওপিএস এর ভাইস প্রেসিডন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে বাংলাদেশ।