সম্পর্কের সোনালী অধ্যায় পার করছে ভারত-বাংলাদেশ: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (০৭ ডিসেম্বর): বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৈচিত্র্যময়, বহুমুখী, বহুমাত্রিক এবং ক্রম বিকাশমান বলে উল্লেখ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দু'দেশের প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি সোনালী অধ্যায় পার করছি।
সোমবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীর সাপ্রু হাউজে ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে 'মৈত্রী দিবস' উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিক অখণ্ডতা, শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার, ভূমি সীমানা সমস্যার বন্ধুত্বপূর্ণ নিষ্পত্তি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তব ফলাফল অর্জনে সহায়তা করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। দুই দেশের ভূ-কৌশলগত অবস্থান একে অপরের পরিপূরক এবং যৌথ অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জনের অন্যতম প্রধান নিয়ামক।
ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ঐতিহাসিক এবং আত্মার ও রক্তের বন্ধন আখ্যায়িত করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের ৩০ লাখ শহিদ ও ২ লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের পাশাপাশি ১৮ হাজারের বেশি ভারতীয়কে জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পাশে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের 'ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড' এবং 'বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার অ্যাওয়ার্ড' প্রদান করতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জন্য ভারতের নিঃস্বার্থ সমর্থন আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবো।
কে এম খালিদ বলেন, ২০২১ সাল বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। কেননা, এ বছর আমরা যুগপৎভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছি। আজকের 'মৈত্রী দিবস'-এর যৌথ উদযাপন আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাসে আরেকটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিডাব্লিউএ-এর মহাপরিচালক বিজয় ঠাকুর সিং। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন আইসিডাব্লিউএ-এর পরিচালক (গবেষণা) ড. নিবেদিতা রায়।