Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
ড্রোন হামলায় নিহত ১০ আফগানই বেসামরিক, ক্ষমা প্রার্থনা মার্কিন জেনারেলের

বুধবার

১৮ জুন ২০২৫


৪ আষাঢ় ১৪৩২,

২০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

নিহত ১০ জনের মধ্যে ৭ জনই ছিল শিশু

ড্রোন হামলায় নিহত ১০ আফগানই বেসামরিক, ক্ষমা প্রার্থনা মার্কিন জেনারেলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৭:২৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৭:৩১, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
ড্রোন হামলায় নিহত ১০ আফগানই বেসামরিক, ক্ষমা প্রার্থনা মার্কিন জেনারেলের

২৯ আগস্ট  আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলায় বিধ্বস্ত একটি গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (১৮ সেপ্টেম্বর): আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে সেনা প্রত্যাহারের আগে কাবুলে আগস্ট মাসের শেষদিকে একটি ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। কাবুল বিমানবন্দরে ইসলামিক স্টেট খোরাসানের হামলার পরই ওই ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় ৭ শিশুসহ অন্তত ১০ জন আফগান সাধারণ নাগরিক নিহত হন।

সে সময় ওই ঘটনায় “কয়েকজন জঙ্গি মারা গেছে” —এমন দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে গতকার শুক্রবার তারা সুর পাল্টে ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন হামলায় ওই নিহত বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু দায় স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন মার্কিন জেনারেল। সমবেদনা জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। খবর বিবিসি, রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক টাইমস ও আল-জাজিরার। 

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে জানানো হয়েছে, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল ফ্ল্যাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, ড্রোন হামলায় যারা মারা গিয়েছিলেন তারা আইএসকেপির সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে মনে হচ্ছে না। সেই হামলায় সাতজন শিশুসহ ১০ জন বেসামরিক মানুষ মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়েছে। এটি একটি ভুল ছিল। আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনও হামলার শিকারদের জন্য সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি ওই হামলার তদন্তের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করার কথা ঘোষণা করেছেন।

এদিকে, ড্রোন হামলায় আফগানদের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক ভুল’ হিসেবে উল্লেখ করে পেন্টাগন বলছে, ওই ড্রোন হামলায় এক পরিবারের ৯ জন সদস্য মারা গেছেন, যাদের মধ্যে ৭ জনই ছিল শিশু। সবচেয়ে ছোট শিশু সুমায়ার বয়স ছিল মাত্র ২ বছর।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড ওই ঘটনায় নিহত এক ব্যক্তিকে আইএস-খোরাসানের সদস্য হিসেবে দাবি করলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন তা নাকচ করে দিয়েছেন।  

এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ওই হামলায় নিহত ব্যক্তির নাম আহমাদী। তিনি নিউট্রিশন অ্যান্ড এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।

তিনি জানান, আমরা এখন জানি, আহমাদীর সঙ্গে আইএস-খোরাসানের মধ্যে কোনো যোগসূত্রই ছিল না। ওইদিন তার কার্যক্রমও আমাদের জন্য হুমকি ছিল না। আমাদের ধারণাই ভুল ছিল। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। মারাত্মক এই ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নেব।  

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়