১৩০ টিরও বেশি দেশে সাংবাদিকতা অবরুদ্ধ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (২৪ এপ্রিল): বর্তমানে বিশ্বের ১৩০ টিরও বেশি দেশে সাংবাদিকতা অবরুদ্ধ হয়ে আছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ২০২১ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম সূচকে এমনটাই দেখা গেছে। রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) প্রধান প্রেম সামি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রেম সামি বলেছেন, প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পরিস্থিতি পর্যালোচনা তৈরী করা এ সূচকে এবার দেখা যাচ্ছে বর্তমানে সাংবাদিকতা ১৩০ টিরও বেশি দেশে অবরুদ্ধ। সাংবাদিকদের তথ্য সরবরাহ না করার ক্ষেত্রে করোনা মহামারিকে বড় ধরণের অজুহাত হিসেবে দাড় করানো হয়েছে। ফলে প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে সঠিক প্রতিবেদন তৈরী করা সম্ভব হয়নি। এ মহামারি শেষ হয়ে গেলে কি এই সাংবাদিকদের জন্য তথ্য পথ সুগম হবে কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে সাংবাদিকদের স্পর্শকাতর কোন রিপোর্ট বা অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে গেলে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। বিশেষ করে এশিয়া, মধ্য প্রাচ্য এবং ইউরোপে এ অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ।
আরএসএফ প্রধান বলেন, সাংবাদিকতা হল অসত্য তথ্যের বিরুদ্ধে সেরা ভ্যাকসিন। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে সঠিক সংবাদ তৈরী এবং বিতরণ প্রায়ই রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত কারণে প্রতিহত করা হয়ে থাকে। করোনা মহামারি চলাকালীন এ ঘটনা আরও বেশি ঘটেছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো এবং ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো কোভিড -১৯ এর চিকিৎসা নিয়ে অনেক ইতিবাচক প্রচার চালিয়েছেন। এর খবর কোন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি। ইরানে কর্তৃপক্ষ সংবাদ প্রচারের উপর নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করেছে এবং কোভিড-১৯ এর প্রকৃত মৃত্যুর যাতে প্রকাশ না করা হয় সে লক্ষ্যে সাংবাদিকদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে। মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সরবরাহ করা তথ্য ছাড়া মহামারি সংক্রান্ত অন্য কোন তথ্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
পরিশেষে তিনি বলেন, সরকারের সংবাদ নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া মিথ্যা তথ্য প্রতিহত করতে প্রকৃত সাংবাদিকতার কোন বিকল্প নেই। প্রকৃত তথ্যের বিস্তৃত ভিত্তি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সাংবাদিকতা হ'ল প্রধান উপায়। সাংবাদিকতা রক্ষা করা মানেই হচ্ছে প্রত্যেকের স্বাধীনতা রক্ষা করা।






















