কোভিড- ১৯ কয়েক মাসের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (২০ এপ্রিল): করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সুষ্ঠু ভাবে বিতরণ করা হলে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পরা কোভিড-১৯ কয়েক মাসের মধ্যেই বিশ্ব নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস এ কথা বলেছেন।
সোমবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রয়টার্স
ভার্চুয়ালি আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা গ্রেটা থানবার্গও সুইডেন থেকে অংশ নেন। তিনি ‘ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ’ নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে অনেকেই চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও উন্নত দেশগুলো বয়সে তরুনদের টিকার অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়টি অনৈতিক।
এ প্রেক্ষিতে ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে এ মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনার অস্ত্র আমাদের কাছে রয়েছে। আমরা যদি নিয়ম মেনে সুষ্ঠুভাবে সেটা ব্যবহার করি, তবে কয়েক মাসের মধ্যে সেটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
তবে সংক্রমণের ভ্যারিয়েন্ট আরো শক্তিশালী হওয়ায় সারা বিশ্বে ২৫ থেকে ৫৯ বছরের মানুষের মাঝে এ ভাইরাস উদ্বেগজনক হারে ছড়িয়ে পরায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘মৃতের সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছে নয় মাস। আর চার মাসে পৌঁছেছে ২০ লাখে, তিন মাসে পৌঁছেছে ৩০ লাখে।’
থানবার্গ বলেন, উচ্চ আয়ের দেশে যেখানে চারজনের মধ্যে একজন কোভিড ১৯ এর ভ্যাকসিন পেয়েছেন, সেখানে দরিদ্র দেশে ৫০০ জনের বেশি মানুষের মধ্যে একজন এ ভ্যাকসিন নেওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন।
‘ভ্যাকসিন বিতরণের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ অনুসরণ করা হচ্ছে’ বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নৈতিক ভাবে এখন উচিত যারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে, তাদেরকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। তারা ধনী বা গরীব যে দেশেই থাকুন না কেন।