মায়ানমারে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে মানবাধিকার সংগঠনের নিন্দা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

জান্তা সরকারকে নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (১০ এপ্রিল): মায়ানমারের সামরিক আদালতে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়ায় জান্তা সরকারকে নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। শনিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ নিন্দা জানানো হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিভাগের উপ-পরিচালক ফিল রবার্টসন বলেছেন, মায়ানমারের পেনাল কোডে অনেক আগে থেকেই মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল। কিন্তু ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে সেখানে কোন ধরণের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি।
ফিল রবার্টসন বলেন, ‘এ রায়ের ফলে মনে হচ্ছে মায়ানমার আবার সেই সময়ে ফিরে যাচ্ছে যখন সেখানে মৃত্যদণ্ড প্রচলিত ছিল।’ তিনি বলেন, সামরিক আদালতের বিচার মানে হচ্ছে, এ বিচারে কোন আপিল করা যাবে না। আর এ আদালতে কোন ভাবেই নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু বিচারের আশা করা যায় না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এ ধরণের বিচারকে জান্তা সরকার বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার কৌশল হিসেবে কাজে লাগাবে। দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনের ফলে মায়ানমারের অর্থনীতি একেবারে স্থবির হয়ে আছে।
ফিল রবার্টসন বলেন, ‘তাদের আসলে উদ্দেশ্য হলো শক্তি এবং সহিংসতা ব্যবহারের মাধ্যমে জনতাকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়া এবং অসহযোগ আন্দোলনকে নস্যাৎ করা।’
শুক্রবার সেনা সমর্থিত টেলিভিশন চ্যানেল মায়াবতি জানিয়েছে, মায়ানমারের ইয়াঙ্গুনে এক ক্যাপন্টেনের সহযোগিকে হত্যার দায়ে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে সামরিক আদালত।
মায়াবতি টেলিভিশন জানিয়েছে, ইয়াঙ্গুনের উত্তর ওক্কালাপ্পা জেলায় সেনাবহিনীর ক্যাপ্টেনের এক সহযোগিকে খুন করা হয়েছিল। তবে কিভাবে সেই সহযোগী খুন হয়েছিলেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। সেখানে সামরিক আইন জারি থাকায় সামরিক আদালতেই এ বিচারের রায় দেওয়া হলো।
তবে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, সামরিক আদালতে হত্যা এবং ডাকাতির অভিযোগে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ জনের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্য পরিচালনা করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সামরিক বাহিনী ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম সেখানে সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো।
২৭ মার্চ ইয়াঙ্গুনের উত্তর ওক্কালাপ্পা জেলায় সেনাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এর আগে সেখানে সামরিক শাসন জারি করা হয়েছিল।