বিধানসভা নির্বাচন: সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩৭.৪২ শতাংশ
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকা
ঢাকা (০১ এপ্রিল): বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ আর বিশৃংখলার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ৪ জেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এসব জেলার ৩০টি আসনে মোট ৩৭.৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
বৃহস্পতিবার ভোট হচ্ছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। সকাল ৭টা ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরে ৩৮.২৭, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪১.৪৯, বাঁকুড়ায় ৩৬.৯২ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৭.০৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
দ্বিতীয় দফায় এ নির্বাচনে রাজনৈাতিক মহলের কেন্দ্রে রয়েছে নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রাম দখলে এখন লড়াই চলছে তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেতা মমতার প্রাক্তন সহযোগী শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের ওই আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যে এক বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া, বিক্ষিপ্ত সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে কেশপুর, ডেবরা, সবং এবং দাসপুরের মতো জায়গাতেও।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরে কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে উত্তেজনা ছড়ালেও বৃহস্পতিবার ওই জেলার বিভিন্ন বুথে ভোটের লাইনে ভিড় দেখা গেছে। কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, সকাল ১১টা পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে ভোট পড়েছে ৩৪.১২ শতাংশ। এ ছাড়া, ওই সময়ের মধ্যে চণ্ডীপুরে ৪১.২৫ শতাংশ, হলদিয়ায় ৩৫.৬০ শতাংশ, মহিষাদলে ৩৮.৯৫ শতাংশ, ময়নায় ৪২.৩৫ শতাংশ, নন্দকুমারে ৩৮.৬০, পাশকুঁড়া পশ্চিমে ৩৭.৩০, পাশকুঁড়া পূর্বে ৩৪.৭৬ এবং তমলুকে ৪১.৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের উল্লেখযোগ্য আসনগুলির মধ্যে সকাল ১০টা পর্যন্ত ডেবরায় ১৭.২০ শতাংশ, ঘাটালে ১৯.৭১ শতাংশ, খড়্গপুর সদরে ১৪.২৩ শতাংশ এবং সবংয়ে ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ঘর থেকে বের হননি মমতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্য সব ভোটের মতো বৃহস্পতিবারও দিনের বেশির ভাগ সময় গৃহবন্দি ছিলেন। ভোটে লড়ার কথা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন বাড়ি ভাড়া নিয়ে নন্দীগ্রামে থাকবেন। সেই মতো রেয়াপাড়া এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানেই রয়েছেন। তবে আজ ভোটের সকাল থেকে এক বারের জন্যও তাঁকে বের হতে দেখা যায়নি।
অন্য দিকে, সকালেই নন্দীগ্রামে নিজের ভোট দেন মমতার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারী। সংবাদমাধ্যেমের সঙ্গে কথাও বলেছেন। বেলার পরের দিকে বুথে বুথে ঘুরতেও দেখা যায় শুভেন্দুকে।
বৃহস্পতিবার ১৪৪ ধারার মধ্যেই সোনাচূড়া ও কালীচরণপুর গ্রামে বোমাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভেকুটিয়ায় এক বিজেপি কর্মীর আত্মহত্যা নিয়েও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তৃণমূলের দিক থেকে আসা চাপেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পরেও মমতা চুপ হয়ে আছেন। তবে তার এই ‘চুপ’ থাকাটা নতুন কিছু নয়। কলকাতা পুরসভা হোক বা লোকসভা নির্বাচন সব ক্ষেত্রেই বরাবর ঘরে বসে ভোটদানে নজর রাখতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে। ঘনিষ্ঠরা জানেন, কালীঘাটের বাড়ি থেকেই তিনি সব দিকে নজর রাখেন। ফোনে খোঁজ নেন কোথায় কী হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঘরে খোলা থাকে টিভি।
মমতা নন্দীগ্রামের ভোটার নন। তবু তিনি একবার বের হবেন সেই আশায় সকাল থেকে সংবাদমাধ্যমের ভিড় ছিল রেয়াপাড়ার বাড়ির সামনে। কিন্তু কড়া নিরাপত্তায় মোড়া সেই বাড়ির বাইরে থেকে একটি বারের জন্যও মমতাকে দেখা যায়নি।