Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2
কোটা সংস্কার ইস্যুতে সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

রোববার

২২ জুন ২০২৫


১০ আষাঢ় ১৪৩২,

২৫ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

কোটা সংস্কার ইস্যুতে সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৪:০৪, ১৬ জুলাই ২০২৪  
কোটা সংস্কার ইস্যুতে সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

সংগৃহিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন স্থানে ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনাও। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার (১৫ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে। জবাবে তিনি বলেন, এই আন্দোলনের বিষয়ে অবগত আছে বাইডেন প্রশাসন। ঢাকা ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভে শত শত আহতের রিপোর্ট সম্পর্কে আমরা সচেতন আছি। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ যেকোনো বিকাশমান গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান। আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতার নিন্দা জানাই। যারা এই সহিংসতার শিকার হয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে। তবে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে কোন শিক্ষার্থী নিহতের বিষয়টি না এলেও নিজ বক্তব্যে চলমান কোটা আন্দোলনের সময় দুই শিক্ষার্থী নিহতের তথ্য তিনি কোথায় পেয়েছেন কিংবা কীভাবে নিশ্চিত হয়েছেন তা জানাননি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র। উল্লেখ্য, ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। তখন সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল ৩০ শতাংশ।

 এছাড়া ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ জেলা, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা ছিল। সব মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ। কোটা বাতিল করে সরকারের পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর রুল দেন হাইকোর্ট। চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৫ জুন রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। 

এদিকে রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে সরকারি চাকরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-নাতনিরা পাবে-এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ায় পর থেকেই ফেসবুকে ছড়াতে থাকে, ‘আন্দোলনকারীদের রাজাকারের নাতি-নাতনি’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেকে ‘রাজাকার’ বলে স্লোগান দিয়ে রাতভর বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়