শুক্রবার

১৯ এপ্রিল ২০২৪


৬ বৈশাখ ১৪৩১,

১০ শাওয়াল ১৪৪৫

কোরিয়া ও জাপানের শীর্ষ বৈঠক, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৯:৫১, ১৬ মার্চ ২০২৩  
কোরিয়া ও জাপানের শীর্ষ বৈঠক, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

সংগৃহীত

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রায় এক যুগ পর দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়া এক শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে৷ এ ঘটনায় মার্কিন প্রশাসন পিয়ংইয়ংয়ের কড়া সমালোচনা করেছে৷

উত্তর কোরিয়ার মতো প্রতিবেশী দেশের সামরিক আস্ফালন দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের জন্য সব সময়ে দুশ্চিন্তার কারণ৷ আঞ্চলিক পরাশক্তি হিসেবে চীনের মতিগতিও এই দুই গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অস্বস্তিকর৷ সৌল ও টোকিও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল৷ অথচ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে চাপা উত্তেজনা রয়ে গেছে৷ সে কারণে দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্টের জাপান সফর বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ তার উপর বৃহস্পতিবার সফর শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তর কোরিয়া কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপানের মাঝে সমুদ্রের উপর সম্ভবত এক আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করায় উত্তেজনা আরও বেড়ে গেল৷

আসলে উত্তেজনার আবহ চলতি সপ্তাহের শুরুতেই বেড়ে গেছে৷ দক্ষিণ ও কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল সামরিক মহড়াকে বৈরি পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছে পিয়ংইয়ং৷ এর জবাব হিসেবে পরমাণু শক্তিধর দেশটি বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে৷ জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারের আইসিবিএম ধাঁচের প্রজেক্টাইল ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি উচ্চতায় প্রায় ৭০ মিনিট ওড়ার পর সমুদ্রে আছড়ে পড়ে৷ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এই পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করেছে৷

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়েওল সামরিক বাহিনীকে পরিকল্পনা অনুযায়ী অ্যামেরিকার সঙ্গে ১১ দিনের মহড়া চালিয়ে যাবার নির্দেশ দিয়েছেন৷ তাঁর মতে উত্তর কোরিয়াকে ‘বেপরোয়া প্ররোচনা'-র মূল্য চোকাতে হবে৷ উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের পর অ্যামেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার এত বড় আকারের সামরিক মহড়া দেখা যায় নি৷ ওয়াশিংটনে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে৷ তার মতে, সে দেশ অকারণে গোটা অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে৷ ওয়াটসন মনে করিয়ে দেন, যে এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে৷

এমন উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন টোকিওতে মিলিত হচ্ছেন৷ দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিবাদ কাটিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে চান দুই নেতা৷ উত্তর কোরিয়াসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জের মুখে ঐক্যের উপর জোর দিতে চায় দুই দেশ৷ বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সময় যৌথভাবে নজরদারি চালানো এবং সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকার করছে টোকিও ও সৌল৷ বৃহস্পতিবারের ঘটনা সেই উদ্যোগ আরও জোরালো করবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ ১৯১০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জাপান কোরীয় উপদ্বীপ দখল করে রাখলেও সে বিষয়ে যথেষ্ট অনুশোচনা প্রকাশ না করায় দক্ষিণ কোরিয়ায় এখনো ক্ষোভ দূর হয় নি৷ সেইসঙ্গে অন্যান্য বিষয়েও মতবিরোধ দানা বেঁধেছে৷

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়