‘সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া’র ঝুঁকিতে আফগানিস্তান: জাতিসংঘ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

ইউএনডিপি প্রতিবেদনে বলেছে আফগানিস্তান দারিদ্র্যের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। ছবি: এপি
ঢাকা (১০ সেপ্টেম্বর): জাতিসংঘ হুশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তালেবান সরকার নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও সেখানে অর্থ প্রবাহ অব্যাহত রাখার উপায় বের করতে না পারলে আফগানিস্তান সম্পূর্ণ ভেঙে পড়তে পারে।
জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, আফগানিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের সমাধান করা না হলে দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৯৭ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে ডুবে যেতে পারে।
আফগানিস্তানের নতুন সরকারকে চাপে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ বর্তমানে বিদেশে ফ্রিজ করে রাখা হয়েছে।
কিন্তু আফগানিস্তানের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ দূত ডেবোরা লিওন্স বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন যে, অর্থনীতি এবং সামাজিক ব্যবস্থার সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়া রোধ করতে দেশে অর্থ আনার একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন যে, আফগানিস্তান এখন অনেক ধরনের সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মুদ্রার মান কমে গেছে, খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য বেড়েছে এবং বেসরকারি ব্যাংকে নগদ টাকার সংকট রয়েছে। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের কাছে সরকারি কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার মতো তহবিলও নেই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিদেশী দাতারা আফগানিস্তান সরকারকে জনসাধারণের ব্যয়ের জন্য ৭৫ শতাংশেরও বেশি অর্থের জোগান দিয়েছে। কিন্তু ২০ বছর পর আমেরিকা সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর এ অর্থের যোগানও বন্ধ হয়ে গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বলেছে, মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য তারা তৈরী। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ খালাস করাসহ যে কোন ধরনের সরাসরি অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়া, তালেবানদের কর্মকাণ্ডের উপর নির্ভর করবে।
এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আফগানিস্তানের ৪৪০ মিলিয়ন ডলারের জরুরী রিজার্ভ ব্লক করে দিয়েছে। এ অর্থও তালেবানরা ব্যবহার করতে পারবে না।
সিনিয়র মার্কিন কূটনীতিক জেফরি ডেলরেন্টিস নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ‘তালেবানরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সমর্থন চাইছে। তাদের জন্য আমাদের খুব সহজ বক্তব্য: যেকোন ধরনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং সমর্থন অর্জন করে নিতে হবে।’
রাশিয়া এবং চীন, ইতোমধ্যে আফগানিস্তানকে লাখ লাখ ডলারের জরুরি সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে। দুই দেশই আফগানিস্তানের ফ্রিজ করা সম্পদ ছাড় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।