গিনিতে সেনা অভ্যুত্থান: প্রেসিডেন্ট আটক, সারাদেশে কারফিউ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: গিনিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা
ঢাকা (০৬ সেপ্টেম্বর): আফ্রিকার দেশ গিনিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে প্রেসিডেন্টকে আটক এবং দেশব্যাপী কারফিউ জারি করেছে। তারা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অভিযোগে সংবিধান বাতিল ও সরকার ভেঙে দিয়েছে। খবর বিবিসি, আল জাজিরা।
সোমবার নতুন সামরিক নেতৃবৃন্দ পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করেন। এরপর এক ঘোষণায় তারা জানিয়েছেন, সকাল ১১ টায় প্রেসিডেন্ট আলফা কন্ডের মন্ত্রীসবার সদস্যসহ সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে এক সঙ্গে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সামরিক বাহিনী বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ নির্দেশ অমান্য করাকে বিদ্রোহ হিসেবে গণ্য করা হবে। দেশের গভর্ণর এবং অন্যান্য শীর্ষ প্রশাসনের দায়িত্ব সামরিক বাহিনী গ্রহন করবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে রবিবার পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় দেখা যায় সেনা পরিবেষ্টিত ইউনিফর্ম পরা একজন সেনা কর্মকর্তা বলছেন, আমরা প্রেসিডেন্টকে নিজেদের জিম্মায় নিয়েছি এবং সংবিধান সংবিধান বাতিল ও সরকার ভেঙে দিয়েছি।
নাম প্রকাশ না করা ওই সেনাকর্মকর্তা ভিডিও বার্তায় আরও জানান, গিনির স্থল এবং আকাশ সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গিনির সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের প্রধান কর্নেল মামাদি দুমবোয়ার নেতৃত্বে এই অভ্যুত্থান হয় বলে জানা গেছে। তিনি সরকারি টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন, সরকারের বিশৃংখলা তাদেরকে এ অভ্যুত্থান ঘটাতে বাধ্য করেছে।
পশ্চিম আফ্রিকার দরিদ্র দেশটিতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মামাদি অভিযোগ করেন, কন্ডে রাজনীতিকে নিজের সম্পত্তিতে পরিণত করেছিলেন। তিনি দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক অবস্থার উন্নতির জন্য কিছুই করেননি।
তিনি বলেন, আমরা আর একব্যক্তির রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। আমরা জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাই। তিনি আরো বলেন, গিনি সুন্দর। তাকে নিপীড়িত করার দরকার নেই। আমাদের প্রয়োজন তাকে ভালোবাসা।
গত বছর সহিংসতাপূর্ণ নির্বাচনে ৮৩ বছর বয়স্ক কন্ডে তৃতীয়বারে মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, গিনিকে সমর্থনে মার্কিন সক্ষমতার একটা সীমা রয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস টুইটারে অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে কন্ডেকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়া ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডি. আর কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স তিশেকেদিও অভ্যুত্থানের নিন্দা এবং কন্ডেকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।