পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে গুলিতে নিহত ৪
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

নিহতদের দেহ হাসপাতালে আনা হচ্ছে। ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকা
ঢাকা (১০ এপ্রিল): পশ্চিমবঙ্গে বিধান সভার চতুর্থদফার ভোট গ্রহণ চলাকালেই গুলিতে ৪জন নিহত হয়েছেন। শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে। এ ঘটনায় আহত আরো ৪জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত ৪ জনকে তৃণমূল নিজেদের সমর্থক বলে দাবি করেছে।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা অভিযোগ করেছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি-র হয়ে কাজ করছে।
স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘দলে দলে মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।’ বুথের ভিতরে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল, তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
এদিকে, বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক এ ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লাগাতার উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন মমতা। মাথাভাঙা, শীতলকুচি, কুচবিহারের সভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরতে বলেন তিনি, তাতেই একটি বিশেষ শ্রেণির লোক উত্তেজিত এবং তা থেকে আক্রমণাত্মক হয়ে পড়েন। কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি গুলি চালিয়ে থাকে, তা আত্মরক্ষার্থেই চালিয়েছে। আসলে তৃণমূল জানে, ওরা হারছে। তাই উশৃঙ্খলতা তৈরি করছে।’
এ ঘটনায় রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, সিআরপিএফ নয়, গুলি চালিয়েছে সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স)।
রাজ্য নির্বাচন পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে জানিয়েছেন, তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। ভোট দিতেও বাধা দেওয়া হচ্ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরা হয়। রাইফেলও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এরপর আত্মরক্ষা করতেই তারা গুলি করেন।
শনিবার সকালে চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে দফায় দফায় শীতলকুচিতে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় সকালে পাঠানটুলি শালবাড়ির ২৮৫ বুথে ভোট দিতে গিয়ে আনন্দ বর্মণ নামের এক ১৮ বছরের কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।