মায়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহবান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (১০ এপ্রিল): মায়ানমারে জান্তার সরকারের নির্যাতন বন্ধ এবং গণতন্ত্র পুনস্থাপনে আন্তর্জাতিক চাপ আরো বাড়ানোর মাধ্যরেম অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘে দায়িত্ব পালনকারী সেখানকার দূত। শুক্রবার তিনি আন্তর্জাতিক চাপের অংশ হিসেবে মায়ানমারের ওপর ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহবান জানান। খবর এএফপি।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো মায়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। এ লক্ষ্যে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর একটি সম্মেলনেরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু এর পরেও জান্তা সরকার তাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।
জাতিসংঘে মায়ানমারের দূত কিয়াও মোয়ে টুন সেনা অভ্যুত্থান মেনে না নেওয়ায় জান্তা সরকার তাকে অস্বীকার করে বলেছে তিনি আর মায়ামমারের প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য হবেন না। কিয়াও মোয়ে টুন শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন, শিশুসহ শত শত মানুষের মৃত্যু হলেও মায়ানমারের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি বলেন, ‘অনতিবিলম্বে আপনাদের সবার সমন্বিত জোরালো পদক্ষেপ নেয়া দরকার। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে নিরাপত্তা পরিষদ মায়ানমারে এ হত্যাযজ্ঞ চলতে দেবে না।’
বেসামরিক এলাকায় সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার ফলে হতাহত রোধ করতে দূত মায়ানমারকে নো ফ্লাই জোন ঘোষণার আহবান জানান। সেই সঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সামরিক বাহিনী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেও সঙ্গে জড়িত সবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করারও আহবান জানান।
দূত বলেন, মায়নামারে গণতান্ত্রিক সরকার পুনস্থাপন না করা পর্যন্ত সব ধরণের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ স্থগিত করা উচিৎ।
নিরাপত্তা পরিষদে ভোটে দেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন চীন এবং রাশিয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে আসছে। অবশ্য মায়ানমারের সেনাবাহিনীর সবচেয়ে ঘনিষ্ট মিত্র বেইজিং সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
মায়ানমারে সহিংসতার কারণে সীমান্ত পেড়িয়ে লোকজন পাশের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আঞ্চলিক সংস্থা আসিয়ান একটি সমাধানের লক্ষ্যে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা করেছে। নিরাপত্তা পরিষদে ফ্রান্সের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর নাটালি ব্রডহ্রাস্ট জানিয়েছেন, মায়ানমার নিয়ে আসিয়ান সদস্যরা ২০ এপ্রিল বৈঠকে বসবেন। তিনি জানান, জাকার্তায় আসিয়ানের সদরদপ্তরে সবাই সশরীরে এ বৈঠকে যোগ দেবেন। তবে ১০ জাতির এ সংস্থার সদস্যদের মধ্যে বিভেদ রয়েছে। থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া মায়ানমারের সমস্যাকে অভ্যন্তরীন বিষয় বলে উল্লেখ করে পিছু হটেছে। আর সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া এক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালনে তৎপর রয়েছে।