সোমবার

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫


৩১ ভাদ্র ১৪৩২,

২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

নন্দীগ্রামের ভোটে মমতার অসন্তোষ

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ১ এপ্রিল ২০২১  
নন্দীগ্রামের ভোটে মমতার অসন্তোষ

নন্দীগ্রামের ভোটে মমতার অসন্তোষ। ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকা

ঢাকা (০১ এপ্রিল): পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে অনুষ্ঠিত ভোট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ভোটের শুরুতে তিনি বাড়িতেই বসেছিলেন। কিন্তু দুপুরের পর বিভিন্ন  কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে নানা অভিযোগ শুনে তিনি হতাশা প্রকাশ করেছেন। প্রয়োজনে তিনি আদালতে যাবেন বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোটের জন্য এখন নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় একটি বাড়িতে অস্থায়ী ভাবে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর সকাল থেকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারী বুথে বুথে ঘুরলেও, তিনি বের হননি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নন্দীগ্রামে বিভিন্ন স্থানে নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে  দুপুর ১টার পর রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। দেহরক্ষীদের সহায়তায়, হুইলচেয়ার থেকে নীল রঙের গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান। বয়ালে পৌঁছে হুইলচেয়ারে বসেই গ্রামের ভিতর ঢুকে যান মমতা। সেখানে গ্রামবাসীদের অভিযোগ শোনেন তিনি।

ছাপ্পাভোটের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে নন্দীগ্রামের বয়ালে। মমতা সেখানে ৭ নম্বর বুথে ঢুকে পরিস্থিতির তদারকি করেন। মমতার অভিযোগ, বাইরে থেকে লোক এনে ভোট করাচ্ছে বিজেপি। যাদের আনা হয়েছে, তাঁরা কেউ বাংলা জানেন না। বয়ালের ওই বুধে বিজেপি অবাধে ছাপ্পা ভোট করেছে বলে তৃণমূল নেত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 

মমতা বলেন, ‘‘আদালতে যাব আমরা। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ৬৩টা অভিযোগ পেয়েছি।’’ বয়ালের বুথে বসেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন করে পরিস্থিতি জানান মমতা।

বয়ালের এ পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী জানান, ওই বুথে ৮০ শতাংশ ভোটই হয়ে গিয়েছে। সকাল থেকে ভোট হয়ে গিয়েছে। এখন গিয়ে আর কিচ্ছু করার নেই তাঁর। এর পরেই সংবাদমাধ্যমে মমতা অভিযোগ করেন, বয়ালের ওই বুথে ৮০ শতাংশ ছাপ্পাভোট দেওয়া হয়েছে। মমতা বলেন, ‘‘বিহার ও উত্তরপ্রদেশের গুন্ডারা এসে ঝামেলা পাকাচ্ছে। যারা ঝামেলা করছে, এক জনও বাংলা জানে না। সব হিন্দি বলছে।’’

কিন্তু মমতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘অবাঞ্ছিত কেউ যাতে বুথে না ঢোকেন, তার জন্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেবেন। তাতে অসুবিধা কোথায়! হেরে যাবেন বুঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন মমতা। নির্বাচন কমিশনকে ভরসা করা উচিত।

দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বয়াল, গোকুলনগর, সোনাচূড়-সহ একাধিক এলাকা থেকে নানা অভিযোগ সামনে আসছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, সেখানকার বুথে তৃণমূল এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। এক জন এজেন্ট গেলেও তাঁকে মেরে তাড়িয়ে দেন বিজেপি কর্মীরা। ছিঁড়ে দেওয়া হয় তাঁর কাগজ। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বাহিনীও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বয়ালের ওই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তায় বিজেপি অবাধে ছাপ্পা ভোট করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বিষয়টি নিয়ে মমতার কাছে অভিযোগও জানান তাঁরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে, মারধর করছে বলে জানান। তারা মমতার কাছে পুননির্বাচনের দাবি জানান।
 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়