মায়ানমারে অস্ত্র বিরতি, বিক্ষোভকারীদের জন্য নয়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

মায়ানমারে গণতন্ত্রকামীদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ। ছবি: এপি
ঢাকা (০১ এপ্রিল): মায়ানমারের জান্তা সরকার এক তরফাভাবে এক মাসের অস্ত্র বিরতি ঘোষণা করেছে। তবে বুধবার ঘোষণা করা এ অস্ত্র বিরতি সরকারের কাজে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের জন্য অর্থাৎ গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। খবর এপি।
সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জাতিগত সংখ্যালঘু শসস্ত্র গেরিলা গ্রুপের মধ্যে অন্তত দুটি গ্রুপ একাধিক হামলা চালানোর পর সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হলো। এমন এক ডজনের বেশি গ্রুপ কয়েক দশক ধরে কেন্দ্রিয় সরকারের কাছ থেকে স্বায়ত্বশাসনের দাবি করে আসছে। মাঝে মাঝে তারা সহিংসতারও আশ্রয় নিয়েছে। এমনকি শান্তিপূর্ণ সময়েও সরকারের সঙ্গে তাদের টানাপড়েন ছিল এবং অস্ত্র বিরতি প্রায় ভেঙ্গে যাওয়া উপক্রম হয়েছিল।
১ ফেব্রুয়ারিতে অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর জনতা অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। এ আন্দোলনকারীরা সরকারি এবং বেসরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারিদের সরকারের সহযোগি হিসেবে কাজ বন্ধ রাখার আহবান জানিয়েছে। সামরিক সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে নাগরিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে জাতিগত সংখ্যালঘু শসস্ত্র গেরিলা গ্রুপেরও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সরকারের সশস্ত্র বাহিনী মোকাবেলা করতে তারা একটি ফেডারেল বাহিনীও গঠনের আহবান জানিয়েছেন।
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীরা মায়ানমারের বিভিন্ন শহর এবং নগরে বিক্ষোভের সময় পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের মুখোমুখি হয়ে অকাতরে প্রাণ হারিয়েছেন। অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত নানা ঘটনায় কমপক্ষে ৫৩৬ জন নিহত হয়েছেন বলে মায়ানমারের অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানিয়েছে।
সরকারের এ একতরফা অস্ত্র বিরতি নিয়ে জাতিগত সংখ্যালঘু শসস্ত্র গেরিলা গ্রুপের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এসব গ্রুপের মধ্যে প্রধান কয়েকটি গ্রুপ সামরিক অভ্যুত্থানকে সরাসরি নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাতে বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।