ভোটের সময় নন্দীগ্রামে থাকবেন মমতা
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকা
ঢাকা (৩১ মার্চ): নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ করা হবে কাল বৃহস্পতিবার। সেখানে মঙ্গলবারই শেষ হয়েছে প্রচার পর্ব। ভোট পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামেই থাকবেন বলে আগে জানালেও বুধবার হুগলিতে জোড়া সভা করছেন মমতা। সেখানে তিনি প্রথমে গোঘাট ও পরে সিঙ্গুরে এ জনসভা করবেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৃণমূলের উত্থানের পিছনে নন্দীগ্রামের যেমন ভূমিকা রয়েছে, তেমনই বাংলার রাজনীতিতে জোড়াফুলকে জমি দিয়েছে সিঙ্গুর। এ বার আন্দোলন ভূমি নন্দীগ্রামে নিজে প্রার্থী হয়ে ওই আসনকে ‘হট সিট’ বানিয়েছেন মমতা। দলের প্রাক্তন সৈনিক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই এবার তাঁর মুখোমুখি লড়াই হবে। একই ভাবে সিঙ্গুরেও এ বার মুখোমুখি জমি আন্দোলনের প্রথম সারিতে থাকা তৃণমূলের দুই প্রার্থীর মধ্যে। এক দিকে বেচারাম অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
নির্বাচন ঘোষণার অনেক পরে এমনকি, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণারও পরে বিজেপি-তে যোগ দেন রবীন্দ্রনাথ। তৃণমূলের পক্ষে বলা হয় সিঙ্গুরের বিদায়ী বিধায়ক রবীন্দ্রনাথকে বয়সের কারণেই এ বার প্রার্থী করা হয়নি। অন্য দিকে রবীন্দ্রনাথের এক সময়ের ‘শিষ্য’ হরিপালের বিদায়ী বিধায়ক বেচারামকে প্রার্থী করেন মমতা। এর পর অনেক দিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ্যে আনা রবীন্দ্রনাথ গেরুয়াশিবিরে যোগ দেন। ৮৯ বছরের রবীন্দ্রনাথকে সিঙ্গুরে প্রার্থীও করে বিজেপি। ফলে নীলবাড়ির লড়াইয়ে সিঙ্গুরের জমিও হয়ে ওঠে বড় লড়াইয়ের ময়দান।
সিঙ্গুরের বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে বরাবরই ভাল সম্পর্ক ছিল মমতার। বরাবর শ্রদ্ধা করে এসেছেন। দলবদলের পরেও রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনও কথা বলতে শোনা যায়নি মমতাকে। তবে ভোট-যুদ্ধে নেমে বুধবার মমতা সিঙ্গুরে প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী সম্পর্কে কী বলেন সে দিকে এখন সবার নজর।
বুধবার হুগলি জেলায় প্রচারে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাও। ধনেখালিতে সমাবেশ ও পুরশুড়ায় রোড-শো করবেন নড্ডা। শনিবার জেলার তারকেশ্বরে প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই নিজের কেন্দ্র ছেড়ে হুগলিতে মমতার জোড়া সভা। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির প্রচার শেষ করেই মমতা চলে যাবেন হাওড়ার পাঁচলায়। সেখানেই তাঁর দিনের তৃতীয় সভা। এর পরে যাবেন নন্দীগ্রাম।