শনিবার

২০ এপ্রিল ২০২৪


৭ বৈশাখ ১৪৩১,

১১ শাওয়াল ১৪৪৫

গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা

স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ প্রস্তুত দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২০:২৫, ৬ ডিসেম্বর ২০২২  
স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ প্রস্তুত দেশ

ছবি: সংগৃহীত



ঢাকা (০৬ ডিসেম্বর): ডিজিটাল কানেক্টিভিটি ইকোসিস্টেমে গঠিত শক্তিশালী অবকাঠামোর উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত বলে বক্তারা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাজধানীতে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে করণীয় বিষয়ে টিআরএনবি এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেড আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^াবিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এর জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক ড. মঞ্জুর হোসেন।

বক্তারা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন ২০২১ প্রণয়ন এবং এর সফল বাস্তবায়নের ফলে অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এর ফলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ: আগামী ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বরের মধ্যে তা বাস্তবে রূপ নেবে। ভবিষ্যৎমুখী স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়ন জাতির এই অগ্রগতিকে সহজতর করছে।

তারা বলেন, ভিশন ২০২১ এর আওতায় ডিজিটাল রূপান্তর, ডিজিটাল উদ্ভাবন এবং ডিজিটাল অর্থনীতির মতো নেয়া উদ্যোগগুলো ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে। সরকারি ডিজিটাল সেবাপ্রদানকারী প্ল্যাটফর্মগুলো সাধারণ মানুষের জন্য নতুন নতুন সুযোগ উন্মোচন করেছে, পাশাপাশি গড়ে তুলছে ডিজিটাল সেবা গ্রহণে তাদের মানসিকতা। ডিজিটাল কানেক্টিভিটি ইকোসিস্টেমে গঠিত শক্তিশালী অবকাঠামোর উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।

টেলিযোগোযোগ সেবার হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এর ফলে এখন যে কেউ ডিজিটাল/স্মার্ট অর্থনীতিতে নিজেকে আরও সম্পৃক্ত করার সুযোগ পেয়েছেন। এক্ষেত্রে একটি বড় উদাহরণ সিঙ্গাপুরের স্মার্ট ন্যাশন। সেদিকে লক্ষ্য করলেই বোঝা যায় একটি স্মার্ট নেশন ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে শিল্প পর্যায়ে কী অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বক্তারা বলেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি নিশ্চিত করতে চারটি প্রাতিষ্ঠানিক স্তম্ভ এবং সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। এখন প্রয়োজন এগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন।

তারা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১-এর চারটি মূল স্তম্ভ রয়েছে: যার প্রথম দু'টি হল স্মার্ট নাগরিক এবং স্মার্ট সরকার- যার মাধ্যমে সকল সেবা এবং মাধ্যম ডিজিটালে রূপান্তরিত হবে। অন্যদিকে স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকোনমি স্মার্ট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

এই চারটি স্তম্ভের আওতায় ব্যাপক রূপান্তরের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিগুলো স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়