Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
‘মুস্তাফিজ স্পেশাল বোলার’ : সানজু স্যামসন

শুক্রবার

২০ জুন ২০২৫


৬ আষাঢ় ১৪৩২,

২৩ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

‘মুস্তাফিজ স্পেশাল বোলার’ : সানজু স্যামসন

ক্রীড়া প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০১:০৮, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১  
‘মুস্তাফিজ স্পেশাল বোলার’ : সানজু স্যামসন

ছবি সংগৃহীত

ঢাকা (সেপ্টেম্বর ২২): আইপিএলে গতকাল অবিশ্বাস্য এক ম্যাচের সাক্ষী হলো ক্রিকেট ভক্তরা। হারতে বসা ম্যাচে শেষের রোমাঞ্চে জিতেছে রাজস্থান রয়্যালস। তবে রাজস্থানকে নিশ্চিত হার থেকে বাঁচিয়েছেন বাংলাদেশি তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও কার্তিক তিয়াগি। দুই বোলারের কল্যাণে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে জয় তুলে নেয় রাজস্থান।

ম্যাচ শেষে দুই বোলারের প্রশংসা করতে ভুললেননি রাজস্থান অধিনায়ক সানজু স্যামসন।   

গতকাল মঙ্গলবার রাতে ম্যাচটির নাগাল পাঞ্জাবের হাতেই ছিল। কিন্তু মুস্তাফিজ ও কার্তিক মিলে পাল্টে দেন দৃশ্যপট। শেষ ১২ বলে জয়ের জন্য মাত্র ৮ রান প্রয়োজন ছিল পাঞ্জাবের।  হাতে ছিল ৮ উইকেট। তখন উইকেটে ছিলেন নিকোলাস পুরান ও এইডেন মারক্রামের মতো ব্যাটসম্যান। কিন্তু ১৯ ওভারে মুস্তাফিজকে উড়িয়ে মারতে পারেননি তারা।

বাংলাদেশি পেসারের প্রথম তিন বলে পুরান নিতে পারেন কেবল এক রান। চতুর্থ বলে আউট হতে পারতেন মারক্রাম। ডান দিকে ঝাঁপিয়েও বল গ্লাভসে জমাতে পারেননি সাঞ্জু স্যামসন। ওই বলেও আসে এক রান। পরের দুই বলে দুটি সিঙ্গেল।

ফলে শেষ ওভারে সমীকরণটা দাঁড়ায় ৬ বলে ৪। কিন্তু সহজ সমীকরণও মেলাতে পারেনি পাঞ্জাব। শেষ ওভারে কার্তিকের প্রথম দুই বলে মারক্রাম নেন এক রান। পরের চার বলে আর রানই নিতে পারেনি পাঞ্জাব! উল্টো হারায় দুটি উইকেট। এরপর শেষ বলে কোনো রান দেওয়া ছাড়াই জয়ের উল্লাসে ভাসে রাজস্থান।

অথচ ম্যাচের শেষ দিকে কেউ ভাবতেই পারেনি রাজস্থান জিতবে। মুস্তাফিজ প্রথম ওভারে ভালো করলেও দ্বিতীয় ওভারে দেন ১৪ রান। এরপর ১৭তম ওভারে পর্যন্ত মুস্তাফিজকে বোলিংয়ে আনেননি স্যামসন। মুস্তাফিজ ও কার্তিককে দিয়ে ডেথ ওভারে বোলিং করাবেন বলেই রেখে দিয়েছিলেন অধিনায়ক।

ম্যাচ শেষে দুই বোলারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে স্যামসন বলেন, ‘ম্যাচ জিতলে আসলে সব সিদ্ধান্তই সঠিক মনে হয়। আমি সব সময়ই বোলারদের ওপর আস্থা রাখি। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যেতে চাই। মুস্তাফিজের দুই ওভার রেখে দিয়েছিলাম আসলে এটা ভেবেই, আমরা জিততে পারব ওখান থেকেও।’

স্যামসন আরও বলেন, ‘কেন জানি আমরা নিজেদের ওপর আস্থা রেখেছিলাম। অন্য কেউই ভাবেনি আমরা জিততে পারব। তবে আমাদের মধ্যে লড়াইয়ের কিছু বাকি ছিল। জানতাম, দুজন স্পেশাল বোলার শেষ দিকে বোলিং করবে আমাদের। মুস্তাফিজ আর তিয়াগির ওভার রেখে দিয়েছিলাম তাই। ভেবেছিলাম, ক্রিকেটে তো যেকোনো কিছুই হতে পারে। চেষ্টা করে দেখিই না কী হয়!’

পাঞ্জাব কোচ অনিল কুম্বলেও উপলব্দি করেন ১৯তম ওভারের কথা। তার ভাষায়, ‘আমাদের জন্য এটা (শেষে গিয়ে ম্যাচ হারা) নিয়মিত ঘটনা হয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে দুবাইয়ে। উদ্দেশ্যটা পরিষ্কার—১৯তম ওভারে শেষ করতে হবে।’

শুধু মুস্তাফিজের রাজস্থানের অধিনায়ক সানজু স্যামসনই নয়, তার বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন শন পোলক, গ্রাহেম স্মিথ, রাহুল দ্রাবিড় সহ অনেক খ্যাতিমান ক্রিকেট তারকারা।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়