টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান করে হেরে গেল বাংলাদেশ
ক্রীড়া প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি সংগৃহীত
ঢাকা (সেপ্টেম্বর ৫): পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রথম দুটিতে দাপট দেখিয়ে জিতেছে বাংলাদেশ। সফরকারী নিউজিল্যান্ডকে একরকম গলির দল বানিয়ে ম্যাচগুলোতে জয় পায় টাইগাররা।
শেষ পর্যন্ত তাদের কাছেই আঁটকে গেল পূর্ণ শক্তির বাংলাদেশ দল। কিউইদের দেয়া ১২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অল-আউট হতে হয়েছে ৭৬ রানে। যা বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। এর আগেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ২০১৬ সালে ৭৬ রান করে অল-আউট হয় স্বাগতিকরা। টাইগারদের টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন রানও এই কিউইদের বিপক্ষেই।
দলীয় ২৩ রানে লিটন দাসের ১৫ (১১) রানে বিদায়ের পর একের পর এক উইকেট দিতে থাকে বাংলাদেশ। আজাজ প্যাটেলের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পর পর মেহেদী হাসান ও সাকিব আল হাসানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সপ্তম ওভারে ১৫ রান করা নাঈম শেখকে বোল্ড করে ফেরান রাচীন রবীন্দ্র। দশম ওভারে আবারও প্যাটেলের জোড়া আঘাত। মাহমুদউল্লাহকে ৩ ও আফিফ হোসেনকে শূন্য রানে ফেরান সাজঘরে।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। একটা সময় শঙ্কা জেগেছিল নিজেদের সর্বনিম্ন রানে (৭০) অল-আউট হবার। সেই বাধা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত । সাইফউদ্দিন ৮ রান করে বিদায়ের পর সোহানকে সঙ্গে নিয়ে লড়াইয়ের আভাস দেন মুশফিক। সোহান ৮ রান করে ফিরলে শেষ আশাও ফিকে হয়ে যায়।
মুশফিক শেষ পর্যন্ত একা লড়াই করে ম্যাচটা নেন শেষ ওভার পর্যন্ত। মুশফিক ২০ রানে অপরাজিত থাকলেও ৫২ রানে হেরে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৭৬ রানের লজ্জা পেতে হলো বাংলাদেশকে।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন আজাজ প্যাটেল। ৩ উইকেট নেন কোল ম্যাককনিক এবং ১টি করে উইকেট নেন রাচীন রবীন্দ্র, স্কট কুগ্লেইন ও গ্রান্ডহোম।