শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দিনেই বাংলাদেশের ব্যাটিং আধিপত্য
ক্রীড়া প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি সংগৃহীত
ঢাকা (এপ্রিল ২১): টেস্টে এমন আধিপত্য বিস্তার করা দিন খুব কমই কাটিয়েছে বাংলাদেশ। তার ওপর বিদেশের মাটিতে এমন খেলা অনেকদিন কেউ দেখেনি। আজ পাল্লেকেলেতে প্রথম দিন শেষে প্রথম ইনিংসে মুমিনুলদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩০২ রান।
প্রথমদিন শেষে মুমিনুল ১৫০ বল খেলে ব্যাট করছেন ৬৪ রানে, ২৮৮ বল খেলা শান্ত আছেন ১২৬ রানে। দুজনের জুটিটাও দিনের সর্বোচ্চ- ১৫০ রান।
বুধবার পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে সকালে সবুজ উইকেট দেখেও ব্যাটিং নেওয়ার সাহস দেখান মুমিনুল। বলা হচ্ছিল, উইকেট শুরুতে আর্দ্র থাকবে। তবে ধীরে ধীরে ব্যাটিং সহায়ক হয়ে উঠবে। কিন্ত শুরুতে ৮ রানে ওপেনার সাইফ হাসানকে হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ দল। বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে পুরোপুরি পরাস্ত হন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এলবিডাব্লিউ হয়ে বিদায় নেন রানের খাতা খোলবার আগেই।
সেখান থেকে তামিম ইকবাল তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়েই দলের বিপর্যয় সামাল দিয়েছেন। এ দু’জনের ব্যাটে ভর করে প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নেয় সফরকারীরা। তামিম শুরু থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলেছেন। অন্যদিকে নাজমুল শুরুতে অস্বস্তিতে ভুগলেও ধীরে ধীরে সেটিও কেটে গেছে। পরে পুরো টেস্ট মেজাজেই খেলতে থাকেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান।
দূর্ভাগ্যবশত ৯০ রানেই হঠাৎ মনোযোগ হারিয়ে বসেন তামিম ইকবাল। লাঞ্চের পর বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৯০ রানে। তামিমের ১০১ বলের ইনিংসে ছিল ১৫টি চার! তাতে ভাঙে নাজমুল-তামিমের ১৪৪ রানের বড় এই জুটি।
ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম সকালে সবুজ উইকেট দেখে হয়তো অনেকে কল্পনাই করেননি, হতাশার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া বাংলাদেশ দিন শেষে এভাবে চওড়া হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়বে।
এর পরেও লঙ্কানদের পেস বোলিং আক্রমণ নিয়ে কিছুটা ভয়তো ছিলই। সঙ্গে ছিল তীব্র গরম। তবে এমন কন্ডিশনে অভ্যস্ত থাকা সেই লঙ্কানরাই পুরোটা দিন হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারলেন না! বরং তিন সেশনেই তাদের ওপর শাসন করে খেলেছেন তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন ও মুমিনুল হক।
তবে অপরপ্রান্তে নিখুঁত টেস্ট ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী করেছেন নাজমুল। অধিনায়ক মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে পার করেছেন বাকি দুই সেশন। ১১ ইনিংস পর নাজমুল পেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি।