বিসিবির তহবিলে ৯০০ কোটি টাকা, সুবিধা বেড়েছে দশগুণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি সংগৃহীত: বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
ঢাকা (সেপ্টেম্বর ৪): বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। তাদের তহবিলে উপচে পড়ছে টাকা। আর বিসিবির এই আয়ের সিংহভাগই আসছে আইসিসি ও এসিসির ইভেন্ট রেভিনিউ, টিভি স্বত্ব, টাইটেল স্পন্সর, টিম স্পন্সর ও বিপিএলের আয় থেকে।
বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, বিসিবির তহবিলে এখন পর্যন্ত জমা আছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। আগে জাতীয় দলের সঙ্গে থাকতেন শুধু একজন কোচ। এখন জাতীয় দল, এইচপি, নারী দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গেও সব বিদেশি কোচ রাখা হয়। তাদের সব অর্থ দেয়া হয় বিসিবির আয় থেকেই।
বিসিবি সভাপতি আরো বলেন, 'ক্রিকেটের কোচিং স্টাফে আগে একজন শুধু প্রধান কোচ থাকতো। এখন ফিল্ডিং কোচ, বোলিং কোচ, ব্যাটিং কোচ, প্রধান কোচ তারপর ট্রেনার এগুলো হলো জাতীয় দলের। এরপর হলো এইচপি টিম, তারপর মহিলাদের টিমে, এখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও বিদেশী (কোচ)। আপনাকে বুঝতে হবে, বিসিবির কি পরিমাণ খরচ বেড়েছে এবং আমাদের খেলোয়াড়রা কি পরিবার সুবিধা পেতো বা তাদের সঙ্গে যারা আছে অন্তত পক্ষে এটা দশগুণ বেড়েছে।'
কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা। দেখানে জানানো হয়েছিল গত ৪ বছরে বিসিবির খরচ হয়েছে প্রায় ৮৯৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। যদিও বিসিবির সভাপতি জানিয়েছেন, এর চেয়ে বেশি আয় রয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই অবিভাবক সংস্থার।
তিনি বলেন, 'দ্বিগুণ নয় অনেক টাকা বেড়ে গেছে। এটা বিসিবির আয় থেকেই এসেছে। আমাদের সব স্থানীয় স্পন্সর, বাইরের না। টাকা অনেক কম পাই। এতোকিছুর পরও এই দুই টার্মে আমাদের এফডিআরএ আসলে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার মতো আছে।'
বিসিবির প্রায় সব স্পন্সরই স্থানীয়। অন্য দলগুলোর তুলনায় অনেক কম অর্থ পায় বিসিবির স্পন্সরদের কাছ থেকে। এরপরও বিসিবি যে পরিমাণ আয় করছে তা প্রশংসা যোগ্য বলেই মনে করেন পাপন।