দ্বিতীয় দিন শেষেও উজ্জ্বল বাংলাদেশ
ক্রীড়া প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি সংগৃহীত: নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক।
ঢাকা (এপ্রিল ২২): শেষ সেশনে হালকা বৃষ্টির পর কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। পর্যাপ্ত আলো না থাকায় ২৫ ওভার আগেই শেষ হয় দিনের খেলা। এরপর পাল্লেকেলে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৪৭৪।
দুর্দান্ত টেম্পারামেন্টের ছাপ রেখে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসটি ১৬৩ রানে নিয়ে থামেন শান্ত। দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিতে মুমিনুল করেন ১২৭ রান। ম্যাচের প্রথম দিনে গড়া শান্ত ও মুমিনুলের দেড়শ রানের জুটি এ দিন স্পর্শ করে রেকর্ড উচ্চতা। তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ২৪২ রানের জুটি গড়েন দুজন।
১২৬ রান নিয়ে সকালে দিন শুরু করেন শান্ত, ৬৪ রান নিয়ে মুমিনুল। আগের দিন বেশ এলোমেলো বল করা লঙ্কান পেসাররা দ্বিতীয় দিনে ছিলেন অনেকটা গোছানো। লাইন-লেংথ আঁটসাঁট রেখে রান আটকানোর ছঁক নিয়ে নামেন তারা। শট খেলার সুযোগ খুব বেশি দেননি। শান্ত ও মুমিনুলও ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নেন দলকে।
প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ৭৬ রান। এই সেশনেই মুমিনুল দেখা পান দেশের বাইরে আরাধ্য প্রথম সেঞ্চুরির। ২২৪ বল খেলে তিনি পা রাখেন তিন অঙ্কে। একাদশ সেঞ্চুরিটি তার ক্যারিয়ারের মন্থরতম শতকও।
একটু পরই শান্ত ছাড়িয়ে যান দেড়শ। লাঞ্চের পরও দারুণ খেলে দুজনের জুটি ছাড়িয়ে যায় তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের আগের রেকর্ড ২৩৬ রানকে।
৮৫ ওভারের বেশি উইকেটে কাটানো এই জুটি শেষ পর্যন্ত থামে শান্তর বিদায়ে। লাহিরু কুমারার বলটি পিচ করে একটু থেমে আসে, শান্তর ড্রাইভে বল সরাসরি যায় বোলারের হাতে। ফলে ৩৭৮ বলে ১৭ চার ও ১ ছক্কায় ১৬৩ রানে শেষ হয় শান্তর দারুণ অভিযান।
পরে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে মুমিনুলের জুটিও জমে উঠছিল। তবে দীর্ঘ হয়নি। অফ স্টাম্পের বাইরে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ফ্লাইটেড বলে শরীরের একটু দূরে ড্রাইভ খেলেন মুমিনুল। একটু টার্ন করে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে ক্যাচ যায় প্রথম স্লিপে। ৩০৪ বলে তার ১২৭ রানের ইনিংসে চার ১১টি। টেস্ট ক্যারিয়ারে এই প্রথম ৩০০ বল তিনি খেলতে পারলেন।
এরপর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের জুটিতেও ৫০ রান এসে যায়। দিন শেষে মুশফিক অপরাজিত ১০৭ বলে ৪৩ রানে, ৩৯ বলে ২৫ রানে লিটন।
আলোকস্বল্পতায় বন্ধ হয়ে যাওয়া এই দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তৃতীয় দিনে খেলা শুরু হবে ১৫ মিনিট আগে। চেষ্টা করা হবে দিনে ৯৮ ওভার খেলা চালানোর।




















