শীর্ষ ১২ ক্লাব নিয়ে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ
ক্রীড়া প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

নমুনা ছবি: ইউরোপিয়ান সুপার লিগ
ঢাকা (এপ্রিল ১৯): ইউরোপের শীর্ষ ১২টি ক্লাব নিয়ে এ বছরের আগস্টেই মাঠে গড়াবে নতুন সুপার লিগ। রিয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরিন্তিনো পেরেজকে সভাপতি করে রোববার (১৮ এপ্রিল) রাতে ঘোষণা এসেছে ইউরোপিয়ান সুপার লিগের নতুন কমিটির।
ইতোমধ্যেই ইউরোপিয়ান শীর্ষ ক্লাবগুলো অফিসিয়ালি এই টুর্নামেন্ট নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে। আর এমন ঘোষণা আসার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা।
ইউরোপিয়ান গণমাধ্যম জানাচ্ছে এই টুর্নামেন্টটি মূলত শীর্ষ ক্লাবগুলোকে কাড়িকাড়ি অর্থ এনে দেবে। ধারণা করা হচ্ছে এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করলেই প্রত্যেকটি ক্লাব ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো করে পকেটে পুরবে। আর তাই তো ফিফা ও উয়েফার হুমকি উপেক্ষা করে হলেও সুপার লিগে মাঠে নামতে পারে ক্লাবগুলো।
নতুন এই সুপার লিগের আবির্ভাবের পরপরই বিবৃতি দিয়ে হুশিয়ার করেছে উয়েফা। তারা এই ১২টি ক্লাবকে সতর্ক করে জানিয়েছে যে, কেউ যদি এই বিদ্রোহী টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে তবে তারা চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বহিষ্কার হবে। এছাড়াও প্রত্যেকটি শীর্ষ ঘরোয়া লিগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠকও করেছে উয়েফা। এছাড়াও ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার নিকট অভিযোগ করেছে তারা।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এই সুপার লিগের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ১২টি ক্লাবের কথা জানানো হয়েছে ইএসএলের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে রয়েছে ছয়টি ক্লাব: লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, আর্সেনাল, চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহাম।
স্পেন থেকে আছে: রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও অ্যালেটিকো মাদ্রিদ। ইতালিয়ান সিরি ‘আ’ থেকে: জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান ও এসি মিলান। এছাড়া, গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে জার্মানি থেকে বায়ার্ন মিউনিখ ও লাইপজিগ যোগ দিবে।
ইএসএল এক বিবৃতিতে জানায়, আরও তিনটি ক্লাব রয়েছে প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবগুলোর তালিকায়। অর্থাৎ মোট ১৫টি ক্লাব। এই ১৫ দল সব সময় এই লিগে থাকবে। আরও পাঁচ দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে প্রতি মৌসুমে। অর্থাৎ মোট ২০ দল নিয়ে হবে সুপার লিগ।
এই ২০ দল দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে গ্রুপ পর্বে লড়বে। এখনকার মতোই ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ ভিত্তিতে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি গ্রুপ থেকে শীর্ষ তিন দল উঠবে কোয়ার্টার ফাইনালে। বাকি দুটি স্থানের জন্য দুটি গ্রুপের চতুর্থ ও পঞ্চম দল দুই লেগের প্লে-অফ ম্যাচ খেলবে। এরপর বাকি পথটা চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো। ফাইনাল ছাড়া কোয়ার্টার ও সেমিফাইনাল হবে দুই লেগের ভিত্তিতে।
আর্থিক বিষয় নিয়ে আয়োজকেরা জানিয়েছেন বর্তমান ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার তুলনায় বেশি অর্থ আয় হবে। নতুন এই লিগে অংশ নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবগুলো ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরো করে পাবে।