‘ইউনিয়ন ও পৌরসভা নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ বেড়েছে, যা ইতিবাচক’
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ঢাকা (২১ সেপ্টেম্বর): আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ইউনিয়ন ও পৌর নির্বাচনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে দিয়ে বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন তৃণমূলে গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করে, জবাবদিহিতার সুযোগ বাড়ায় এবং এর ফলে উন্নয়ন কার্যক্রম প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ইউনিয়ন ও পৌরসভা নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ বেড়েছে, যা ইতিবাচক।
আজ মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
‘শেখ হাসিনার সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে আসছে’ উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, গতকাল অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন ও পৌরসভা নির্বাচন দু'-একটি বিচ্ছিন্নঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্বাচন কমিশনকে সরকার সকল ধরনের সহযোগিতা করে আসছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আশা করি নির্বাচন কমিশন পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও কার্যকর এবং কঠোর পদক্ষেপ নিবেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির কথা শুনলে মনে হয় দেশে তারাই গণতন্ত্রের ধারক,বাহক ও রক্ষক,তারাই গণতন্ত্রের সোল এজেন্ট।
‘বিএনপি নিজেদের দ্বারা গণতন্ত্র হত্যার অতীত ভুলে গেছে, ভুলে গেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের চলমান অগ্রযাত্রায় পদে পদে প্রতিবন্ধকতা তৈরির কথা’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুখে জনগণের অধিকার আর গণতন্ত্রের কথা বললেও নির্বাচনে অংশ না নেওয়া বিএনপির স্পষ্ট দ্বি-চারিতা।
তিনি আরও বলেন, যে দলের মহাসচিব নির্বাচিত হয়ে সংসদে যান না,অথচ জনগণের অধিকারের কথা বলেন, এ থেকে বুঝা যায় তাদের কথা ও কাজে কোন মিল নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বলেন বিএনপি চর্চা করে দ্বৈত-নীতি এ কারণে তাদের প্রার্থীদের ওপর ভোটারদের আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে।
‘বিএনপি এসব বুঝতে পেরেই ভরাডুবি এড়াতে নির্বাচন থেকে দুরে সরে গেছে, যা প্রকারন্তরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে’ বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, দলীয় শীর্ষ নেতাদের হঠকারিতা আর সরকারের বিরুদ্ধে অতিমাত্রায় কৌশল করতে গিয়ে বিএনপি এখন ‘আস্থাহীনতার ফাঁদে’ পড়েছে, তাই তারা এ ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। এ ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও নেতিবাচক আর দূর-নিয়ন্ত্রিত রিমোট কন্ট্রোলের রাজনীতি সংকটের আরো গভীরে নিমজ্জিত করেছে বিএনপিকে।
সাংবাদিক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাংক হিসাব তলবের বিষয়টি সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়ার বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে বিষয়টি দেখবেন।
‘শেখ হাসিনা সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যের অবাধ প্রবাহে বিশ্বসী’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাকালে কিংবা অন্যান্য সময়ে গণমাধ্যম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সুখে-দুঃখে শেখ হাসিনা সব-সময় পাশে ছিলেন ভবিষ্যতেও থাকবেন।
‘বিএনপির শাসনামলে ছিল গণমাধ্যমের জন্য অন্ধকার সময়’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তখন অসংখ্য সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছিল। যাদের হাত সাংবাদিকদের রক্তে রঞ্জিত আজ তারা সাংবাদিকদের জন্য মায়াকান্না করছে।
বিএনপির এ কুম্ভিরাশ্রু প্রদর্শন মাছের মায়ের পুত্র শোকের মতো বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।