বিমানবন্দরে করোনা মোবাইল ল্যাবের জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে

ঢাকা (২১ সেপ্টেম্বর): হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার জন্য ‘মোবাইল ল্যাব’ বসানোর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার রাজধানীর শ্যামলীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেন্স ল্যাব ও ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এয়ারপোর্টে ঘুরে আসলাম। এখনও কেউ করোনার ল্যাব বসায়নি, জায়গাই দিতে পারে না। আমি নিজে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে নিয়ে গিয়েছি। আমাদের জায়গা ভেতরে গিয়ে দেখিয়ে আসতে হলো। জায়গা না দিলে ল্যাব হবে কীভাবে। খোলা মাঠে কি কখনও ল্যাব তৈরি করা যায়? খোলা মাঠে ল্যাব করা যাবে না। এয়ারপোর্টের ভেতরে আমাদের জায়গা দিতে হবে যেখানে ল্যাব করা যাবে। 

তিনি বলেন, সাতটি কোম্পানিকে অনুমোদন দিয়ে (আরব আমিরাতের সম্মতির জন্য) পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কিন্তু তারা কাজ করতে পারছিল না। ল্যাবের জায়গাও দেখিয়ে দেওয়া হয়নি। আজকে সবাই মিলে আমরা সেটা সমাধান করে দিয়ে আসলাম। আশা করি নির্ধারিত জায়গায় কাজ শুরু করবে। আরও যদি বড় জায়গা লাগে সেটা তারা ব্যবস্থা করবে। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনও অবকাশ নেই। আমাদের সবাই মিলেই দেশের জন্য কাজ করতে হবে। আজকে কোন জায়গায় ল্যাব বসবে সেটা মন্ত্রীর দেখার কথা না। তারপরও আমরা গিয়ে দেখেছি এবং সে জায়গা নিয়েছি। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে বিদেশে যাওয়ার এই ব্যবস্থা ঠিক হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ ছিল প্রতিষ্ঠান ঠিক করে দেওয়া, সেটা আমরা করেছি। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ দিবে এবং সিভিল এভিয়েশন জায়গা দিবে। যে জায়গা এতদিনেও নির্ধারণ হয়নি, আজ হলো। 

তিনি বলেন, দেশে এখন ৪০০টির বেশি জিন এক্সপার্ট ল্যাব রয়েছে, যেখানে যক্ষ্মা নির্ণয় করা হচ্ছে এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। সঠিক সময়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থতার হার অনেক বেড়ে গেছে। ২০০৪ সালেও বছরে যেখানে ৭০ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যেত। বর্তমানে সেটি ৪৮ শতাংশ কমে ২৮ হাজারে নেমে এসেছে। এখন ৯৫ শতাংশের বেশি রোগী সুস্থ হচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, ইউএসএআইডি'র ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর র‌্যান্ডি আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।