নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কারো সহযোগিতার প্রয়োজন নেই: হাছান মাহমুদ
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

ছবি: অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
ঢাকা (২০ সেপ্টেম্বর): দেশের নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ও স্বাধীন উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কারো সহযোগিতা দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনেক নির্বাচন করেছে।
সোমবার দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের প্রথম প্রকাশনা সাময়িকী ‘বিএসআরএফ বার্তা’ উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।
সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলব প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার যে কারো ব্যাংক হিসাব তলব করতে পারে। এমপি, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তাদেরও ব্যাংক হিসাব তলব হয়। তবে কেউ স্বচ্ছ থাকলে এখানে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। কারণ এই ব্যাংক হিসাব থেকে যখন তাদের স্বচ্ছতা বেরিয়ে আসবে, তখন মানুষের সামনে তাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। তবে এটি কেন সংগঠনের নাম দিয়ে চাওয়া হলো এবং কেন এটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলো, সেটিই প্রশ্ন -সে প্রশ্ন অনেকেই রেখেছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ গত সাড়ে ১২ বছর ধরে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করে আসছেন এবং জনগণকে আহ্বান জানিয়ে আসছেন কিন্তু জনগণ তো তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি এবং সাড়া দেয়ার কোনো কারণও নাই। বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। বিএনপিকে বলবো, এ ধরনের ফাঁকাবুলি আউড়িয়ে লাভ হবে না।’
বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘সরকার ভয়ে খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দিচ্ছে না’ এর জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি’র বরং সরকারকে বহু আগে ধন্যবাদ দেয়া প্রয়োজন ছিল। বিএনপিনেত্রী জিয়া জামিনে মুক্তি পাননি কিম্বা আদালত কর্তৃক খালাসও পাননি। প্রধানমন্ত্রী আইনপ্রদত্ত ক্ষমতাবলে তার সাজা স্থগিত করেছেন। সেই কারণে তিনি কারাগারের বাইরে আছেন। এই জন্য বিএনপি’র শুকরিয়া আদায় করা প্রয়োজন, সরকারকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত। সরকার যেকোনো সময় চাইলে ৬ মাসের সাজা স্থগিতাদেশ বাতিল করতে পারে। সে আদেশ যদি আগামীকাল বাতিল হয় তাহলে তখনই বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফেরত যেতে হবে। এটিও বিএনপি’র মনে রাখা প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি।’
বিটিআরসি থেকে আইপি টিভি’র ডোমেইন বন্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান বলেন, ‘আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশন দেয়ার দায়িত্ব হচ্ছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু তারা ডোমেইন বরাদ্দ পায় বিটিআরসি থেকে। ডোমেইন বরাদ্দ দেয়ার আগে এখন থেকে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর আমরা টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসির সাথে ত্রিপক্ষীয় একটি বৈঠক করবো।’