মঙ্গলবার

১৮ নভেম্বর ২০২৫


৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২,

২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

রাশিয়ার কাছে আড়াই কোটি ডোজ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ

বিশেষ প্রতিবেদন || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০৩:৩২, ২৫ এপ্রিল ২০২১  
রাশিয়ার কাছে আড়াই কোটি ডোজ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ

স্পুটনিক ভি কোভিড-১৯ টিকা

ঢাকা (২৪ এপ্রিল): রাশিয়ার কাছে আড়াই কোটি (২৫ মিলিয়ন) ডোজ স্পুটনিক ভি কোভিড-১৯ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ। 

প্রতি ডোজ স্পুটনিক টিকার দাম পড়বে ১০ ডলার। এই হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে এ টিকা বাবদ প্রায় ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২ হাজার ১২৫ কোটি টাকার) ব্যয় করতে হবে।

বাংলাদেশস্থ রাশিয়ার দূতাবাসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গেল বছর স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা না পাওয়ায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ ভ্যাকসিন চাওয়া হল। 

তবে টিকা উৎপাদনের জন্য ল্যাবরেটরির মান যথোপযুক্ত না হওয়ার কারণে বাংলাদেশে রাশিয়ার টিকা উৎপাদন বেশ কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেন ওই কুটনীতিক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ল্যাবরেটরিগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘ভাল উৎপাদন পদ্ধতি’র সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’ 

ওই কূটনীতিক আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার টিকার জন্য দূতাবাসের সঙ্গে কোন যোগাযোগ করেনি। বরং তারা ভ্যাকসিন উৎপাদনে তহবিল সরবরাহকারী সংস্থা রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড-এর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে।

রাশিয়া বর্তমানে, আর্জেন্টিনা, বেলারুশ এবং সার্বিয়ায় স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন তৈরি করছে। গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ান সরকার মিশরে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির অনুমতি দিয়েছে। তবে স্পুটনিকভ্যাকসিন.কম-এর তথ্য অনুসারে, রাশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনে যাবে এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

এতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী সরবরাহের জন্য এই টিকা ভারত, ব্রাজিল, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অন্যান্য দেশের মতো আরডিআইএফের আন্তর্জাতিক অংশীদার দেশে উৎপাদিত হবে।

প্রসঙ্গত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন মাত্র দুদিন আগে গত বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, বাংলাদেশ ও রাশিয়া সম্প্রতি স্পুটনিক টিকা উৎপাদনের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

গত বছরের শেষদিকে, বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটকে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ৩ কোটি ডোজ কেনার জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সেরাম ইন্সটিটিউট প্রতি মাসে ৫০ লক্ষ ডোজ সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু সেরাম এ পর্যন্ত মাত্র ৭০ লক্ষ ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে শনিবার ৮৩ জন মারা গেছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। যা এক সপ্তাহ আগে এ সংখ্যা ছিল ১১২ জন।
 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়