১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিল নিয়ে আশাবাদী ঢাকা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন (ফাইল ছবি)
ঢাকা (২৩ এপ্রিল): বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল গঠনের বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ। প্যারিস চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের যোগদানের মধ্যে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ‘জলবায়ু বিষয়ক নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে’ দৃঢ় ‘রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি’ ব্যক্ত করায় বাংলাদেশ এ ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ‘জলবায়ু বিষয়ক নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ প্রায় ৪০ জন রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
প্যারিস চুক্তির অঙ্গীকারের অংশ হিসাবে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে প্রশমন ও অভিযোজনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সাহায্য করার জন্য ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিল উত্তোলনের একটি বিধান রাখা হয়েছিল তবে এখনো এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি।
ড. মোমেন প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বজায় রাখতে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, তহবিল মুখ্য নয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। যদি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি থাকে, তাহলে অর্থায়নে কোন সমস্যা হবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু বিষয়ক নেতৃবৃন্দের শীর্ষ সম্মেলনকে ‘যুগান্তকারী’ বলে অভিহিত করেন। কারণ, এ সম্মেলনে বিশ্বনেতৃবৃন্দ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বছরের নভেম্বরে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের (কোপ-২৬) পথে এই শীর্ষ সম্মেলনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার তার ভাষণে উন্নত দেশগুলোকে তাদের কার্বন নির্গমন হ্রাসের পাশাপাশি ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বার্ষিক জলবায়ু তহবিল নিশ্চিত করার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার প্রথম প্রস্তাবে বলেছেন, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখতে উন্নত দেশগুলোর কার্বন নির্গমন হ্রাসের তাৎক্ষণিক ও উচ্চাভিলাষী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোরও প্রশমন ব্যবস্থার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।






















