বুধবার

১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪


২৭ ভাদ্র ১৪৩১,

০৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আবু সাঈদ হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেল পিবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক: || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ১২ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১৭:২৭, ১২ আগস্ট ২০২৪
আবু সাঈদ হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেল পিবিআই

সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:  রংপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলা তদন্তে করবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে আজ সোমবার মামলাটি তাজহাট থানা থেকে পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়। 

বিষয়ট নিশ্চিত করেছেন রংপুর জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন। 

রংপুর জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলাটি তাজহাট থানায় ছিল। আজ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে মামলাটি তাজহাট থানা থেকে পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন মামলার তদন্ত পিবিআই করবে। 

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই বেলা ২টা ১৫ মিনিটের দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে প্রকাশ্যে পুলিশের করা গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দৃশ্য দেশি–বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হয়। 

নিহত আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। তাঁর বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর জাফরপাড়া গ্রামে। তাঁর নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৭ জুলাই তাজহাট থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলার বাদী ওই থানার উপপরিদর্শক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়। 

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে ছাত্র নামধারী সুবিধাভোগী রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনরত দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন দিক থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ও তাদের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও এপিসি গাড়ির মধ্য থেকে সোহেল তার নামীয় সরকারি ইস্যুকৃত শটগান থেকে ১৬৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ফায়ার করে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। 

ওই মামলার এজাহারের একপর্যায়ে সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে বলা হয়, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের একপর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সহপাঠীরা ধরাধরি করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।’

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়