রোববার

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫


৩০ ভাদ্র ১৪৩২,

২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

কোভিড উৎপত্তিস্থল বন্ধ করতে পারলে আক্রান্ত কমবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ২৪ মার্চ ২০২১   আপডেট: ২১:৫৯, ২৪ মার্চ ২০২১
কোভিড উৎপত্তিস্থল বন্ধ করতে পারলে আক্রান্ত কমবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক (ফাইল ছবি)

ঢাকা (২৪ মার্চ): করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, টিকা নিলেই যে সংক্রমণ হবে না সেটি ঠিক না। টিকা নিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। তাছাড়া এখনও ২য় ডোজ টিকা নেয়া হয়নি।'

বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এমবিবিএস পরীক্ষা নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। খবর ইউএনবি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। করোনা কেন বাড়ছে সে উৎপত্তিস্থল আগে বন্ধ করতে হবে। সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোভিড উৎপত্তিস্থল বন্ধ করতে পারলে আক্রান্ত সংখ্যা কমে আসবে। তিনি আরও বলেন, পর্যটন ও বাইরে বেশি বেড়াতে যাওয়ার জন্যই বেশি রোগী বাড়ছে। তাই পর্যটন এলাকা, বিয়ের অনুষ্ঠান ও ওয়াজ মাহফিল সীমিত করতে হবে।

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি বা লকডাউনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হলে জানিয়ে দেবো। এটা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো অর্ডার পাস করে না।

করোনা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে দেশবাসিকে আরো সতর্কভাবে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে চলাফেরা করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “গতমাসে সংক্রমনের হার ছিল মাত্র ২ শতাংশ। সেটি গতকাল হয়ে গেছে ১৩ শতাংশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে করোনা বেড সংখ্যা আবারো বৃদ্ধি করা হচ্ছে। নতুন করে আরো অন্তত ৫টি হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেটেডে হাসপাতাল করা হয়েছে। তবে, দেশের মানুষ যদি মুখে মাস্ক না পড়েন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলেন তাহলে করোনা পরিস্থিতি ভবিষ্যতে সামলানো মুশকিল হতে পারে।”

গতবারের তুলনায় এবছর পরীক্ষার্থ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, গত বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৭২ লক্ষ। আর এবছর ভর্তি পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১ লক্ষ ২২ হাজার ৮৭৪ জন। পাশাপাশি এ বছর করোনার কারণে সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র সংখ্যা ১৯টি এবং ভেন্যু সংখ্যা ৫৫টি করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের ও কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষামান অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে ফটোকপি মেশিনের দোকান বন্ধ রাখা, কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখাসহ অন্যান্য তৎপরতার দিকেও নজর দেয়া হয়েছে। 

স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর-এর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, পুলিশ বাহিনী প্রতিনিধি, সরকারের গোয়ান্দা শাখার প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য শাখার প্রতিনিধিগণ।
 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়