শনিবার

১৮ মে ২০২৪


৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অনেক অনলাইনের কারণে পেশাদার সাংবাদিকরা বিব্রত হন: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২৩:১৩, ৪ মে ২০২৪  
অনেক অনলাইনের কারণে পেশাদার সাংবাদিকরা বিব্রত হন: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে অপসাংবাদিকতা নিয়ে সমালোচনার মধ্যে সংবাদমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তথ্য সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

তিনি বলেছেন, ‘অন্য অনেক পেশার মতো সাংবাদিকতায়ও অপতৎপরতা দেখা যায়, অপসাংবাদিকতা দেখা যায়। এগুলো রোধ করতে হবে। অপসাংবাদিকতার কারণে পেশাদার সাংবাদিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা প্রয়োজন। অনেক অনলাইন রয়েছেÑযাদের নিবন্ধন নেই, অনেকে নিবন্ধনের জন্য আবেদনও করেনি। ফলে এসব অনলাইনের কারণে পেশাদার সাংবাদিকরা বিব্রত হন। এসব অনলাইন অপসাংবাদিকতা করছে।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ উপলক্ষে শনিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘আমাদের ভুল আছে, সেটি গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে ধরিয়ে দিলে আমরা সেটিকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এজেন্ডা নিয়ে কোনো অপতথ্য ছড়ালে আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।

উপাত্ত সুরক্ষা আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক আইনেই অপব্যবহারের সুযোগ আছে। তাই বলে কি আইন থাকবে না, এটা হতে পারে না, আইন থাকতে হবে। সাংবাদিকদের তথ্য পেতে অনেক সময় জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন রয়েছে।

আমরা দুই দিক থেকেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। এই আইনকে কীভাবে কার্যকর প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা যায় এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তবে স্পর্শকাতর তথ্যের ক্ষেত্রেও সতর্কতার সঙ্গে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতাশিরোনামে আলোচনাসভা আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

নদী খনন করে বালু উত্তোলন, ভূমি দখল, পাহাড় এবং গাছ কাটার বিষয়ে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা নানা হয়রানির শিকার হন।

প্রসঙ্গে সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যে রিপোর্টাররা পরিবেশ নিয়ে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে রিপোর্ট করবেন, তাদের সুরক্ষায় পূর্ণাঙ্গ সমর্থন সহযোগিতা আমরা দেব। কারণ পরিবেশ সুরক্ষা আমাদের কেন্দ্রীয় নীতির অংশ। পরিবেশ সুরক্ষায় যারা অবদান রাখেন, তারা আমাদের বন্ধু এবং তাদের আমরা পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা দিতে চাই।

অনুষ্ঠানে নিউজ পেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি . কে. আজাদ বলেন, ‘পরিবেশ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা এখনও বিদ্যমান। আইন এবং সালিশ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ২৯০ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। জামালপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে নিহত হয়েছেন গোলাম রাব্বানী নাদিম। বিশেষ করে মফস্বলে যারা সাংবাদিকতা করেন, তারা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আপস করা ছাড়া সংবাদ করতে পারেন না।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পাঁচ বছরে ৪৫১ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছেÑজানিয়ে . কে. আজাদ বলেন, ‘এসব আইন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অপকর্মের সুরক্ষা দেয়। অথচ সাংবাদিকদের সুরক্ষায় কোনো আইন নেই। অবস্থায় সাংবাদিকদের একটি অংশ সেন্সরশিপে চলে গিয়ে আত্মরক্ষা করতে চান। সাংবাদিকতা কি অপরাধ? জনস্বার্থে তথ্য প্রকাশ করতে গিয়ে কেন তারা অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবেন?’

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ‘বাংলাদেশে ডিএসএ হয়তো চলে গেছে, স্ট্যাটিউট বুকসে এখনও ৯টি আইন রয়েছে। যেগুলো প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে প্রভাবিত করে, মূলত নেতিবাচকভাবে। অনেক পীড়াদায়ক আইন আছে।

সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেনÑভোরের কাগজের সম্পাদক জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, দেশ রূপান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা মামুন দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান প্রতিবেদক পিনাকী রায়।

 

 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়