শনিবার

২৭ জুলাই ২০২৪


১২ শ্রাবণ ১৪৩১,

২০ মুহররম ১৪৪৬

অনিবন্ধিত অনলাইন সংবাদমাধ্যম নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২২:২৭, ২০ এপ্রিল ২০২৪  
অনিবন্ধিত অনলাইন সংবাদমাধ্যম নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিবন্ধন আবেদনের বাইরে থাকা সব অনলাইন সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের ২১৩টি অনলাইন আছে আর রেজিস্টার্ড অনলাইন আছে ২১৩টি। অর্থাৎ মোট ৪২৬ অনলাইন আছে। এর বাইরে দরখাস্ত করেছে এমন, প্রক্রিয়াধীন আছে, সবগুলোর লিস্ট করতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এর বাইরে যত অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে, সেগুলো আপনাদের দাবি ছিল সব বন্ধ করে দেওয়া। সেগুলো আমরা সব বন্ধ করে দেব। দরখাস্ত করলে নিবন্ধন পাওয়ার আগ পর্যন্ত খোলা থাকবে, নিবন্ধন না পেলে আবার বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তবে কবে এসব অনলাইন সংবাদমাধ্যম বন্ধ করা হবে সে বিষয়ে কিছু জানাননি প্রতিমন্ত্রী।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতার জন্য আমরা একটি চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিযে জন্ম নেওয়া ও স্বাধীন হওয়া দেশ বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার মুক্ত গণমাধ্যম, সাংবাদিকতার একটি চমৎকার পরিবেশ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা।

তিনি আরও বলেন, এর জন্য যা যা উপকরণ লাগে সে বিষয়গুলো আমরা নিশ্চিত করতে চাই এবং তার মধ্য দিয়ে আমরা বিশ্বাস করি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি যারা, তারাই উপকৃত হবেন। যারা উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান, তারাই মিথ্যা অপপ্রচার ও অপতথ্যের ওপর ভর করে তাদের অপরাজনীতি করে।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সঠিক তথ্য দেওয়ার বিষয়ে আমরা জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাই। রাষ্ট্র পরিচালনায় যারা যুক্ত থাকেন তাদের তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে কিছুটা অনীহা কাজ করে। আমরা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বার্তা দিয়েছি, তথ্য যদি চাওয়া হয় তা দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছি, মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জনগণের পক্ষে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছি। কাজেই জনগণের জানার বিষয় আছে। তথ্য দেওয়ার বিষয়ে জবাবদিহি করাটা আমাদের বাধ্যতামূলক।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, এই চিন্তা প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে জাগ্রত করার চেষ্টা করছি। কারণ, যদি তথ্য না থাকে, তখনই অপপ্রচারের সুযোগ তৈরি হয়। কাজেই কিছু ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। যেন খুবই অল্প সময়ের মধ্যে আমরা আপনাদের কাছে তথ্য পৌঁছাতে পারি। আর আপনারাও জনগণের কাছে পৌঁছায় দিতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের একটিই উদ্দেশ্য- গণমাধ্যম থাকবে, মুক্ত বুদ্ধির চর্চা হবে, মুক্ত সাংবাদিকতা হবে, সরকার এবং অথোরিটি ভুলভ্রান্তি করলে তার সমালোচনা হবে। সেগুলো আমরা শুনতে চাই, জানতে চাই, বুঝতে চাই এবং নিজেদের শুধরাতে চাই।

এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চেয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমালোচনার নামে যেগুলো নিন্দা করা হয়, অসত্য তথ্যের মাধ্যমে অপপ্রচার করা হয়, সেগুলো আমাদের একসাথে মিলে প্রতিরোধ করতে হবে। কারণ, তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং অর্থবহ সমালোচনা যেমন গণতন্ত্রের জন্য একটি দেশ ও সমাজের এগিয়ে যাওয়ার জন্য অপরিহার্য, একইভাবে তথ্যের বিপরীত অপতথ্য সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। সমাজ ধ্বংস হলে আমরা কেউ কিন্তু এখান থেকে রেহাই পাব না।

প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন দ্রুত কার্যকর করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি এখন যে পর্যায়ে আছে, আমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছি- সাংবাদিকদের যতগুলো সংগঠন আছে, সকল সংগঠন থেকে দু’জন করে প্রতিনিধি পাঠাবে এবং তাদের নিয়ে একটি সেল তৈরি করে আলোচনার ভিত্তিতে তাদের বক্তব্যগুলো নিয়ে আমরা সেটাকে ফাইনালাইজ করব। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা সেটি সংসদে নিয়ে আইন পাস করাবো।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুক্কুর আলী শুভ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়